ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ সহ আসামী ১০৯, গ্রেপ্তার-৩

গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সোহাগ।

হত্যার চেষ্টা ও মারামারি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় চাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, সাংবাদিক, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

Model Hospital

এতে অজ্ঞাতানামা আসামী করা হয়েছে ৩শত ৫০ জনকে।

গত বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ০৪ ও ০৫, তারিখ ৬/১১/২০২৪ ইং।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাপ্তাহিক কচুয়া বার্তার স্টাফ রির্পোটার ও করইশ গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ (৩৮), একই গ্রামের আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম প্রকাশ রনি (৩২) ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (৩২)। প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক সোহাগ গ্রেফতারের ঘটনায় কচুয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, হারিচাইল ও হাসিমপুর মারামারি ঘটনায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। ওই মামলা ৩জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ নভেম্বর) ১০ নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের হারিচাইলে বিএনপি নেতা মোশারেফ হোসেনের সমর্থনে তার কর্মী সমর্থকরা অফিস উদ্ধোধন করার সময় বিএনপির অপর গ্রুপ সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন সমর্থকদের মধ্যে সংষর্ঘ বাধে এতে দুই গ্রুপের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। পরদিন রবিবার জাতীয় ‘দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ সহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় “বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০” একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদের প্রকাশ; চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মোশারেফ গ্রুপের জুয়েল হোসেন, শাহাদাত, লিটন, ফাহিম ও করিম আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপর দিকে মিলন গ্রুপের মোস্তাফা, আতিকুর রহমান, হেলাল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ঘটনার ৪দিন পর গত ৬ (নভেম্বর) মিলন গ্রুপের যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন কচুয়া থানা।

সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সোহাগের গ্রেফতারের ঘটনায় তার বাবা হারুনুর রশিদ জানান, গত ২ নভেম্বর মিয়ার বাজার এলাকায় বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষীয় সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় আমার ছেলে সোহাগকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চরমোনাই’র নমুনায় মাহফিল সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক কমিটির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

কচুয়ায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ সহ আসামী ১০৯, গ্রেপ্তার-৩

আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

হত্যার চেষ্টা ও মারামারি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় চাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, সাংবাদিক, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

Model Hospital

এতে অজ্ঞাতানামা আসামী করা হয়েছে ৩শত ৫০ জনকে।

গত বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ০৪ ও ০৫, তারিখ ৬/১১/২০২৪ ইং।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাপ্তাহিক কচুয়া বার্তার স্টাফ রির্পোটার ও করইশ গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ (৩৮), একই গ্রামের আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম প্রকাশ রনি (৩২) ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (৩২)। প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক সোহাগ গ্রেফতারের ঘটনায় কচুয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, হারিচাইল ও হাসিমপুর মারামারি ঘটনায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। ওই মামলা ৩জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ নভেম্বর) ১০ নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের হারিচাইলে বিএনপি নেতা মোশারেফ হোসেনের সমর্থনে তার কর্মী সমর্থকরা অফিস উদ্ধোধন করার সময় বিএনপির অপর গ্রুপ সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন সমর্থকদের মধ্যে সংষর্ঘ বাধে এতে দুই গ্রুপের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। পরদিন রবিবার জাতীয় ‘দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ সহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় “বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০” একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদের প্রকাশ; চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মোশারেফ গ্রুপের জুয়েল হোসেন, শাহাদাত, লিটন, ফাহিম ও করিম আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপর দিকে মিলন গ্রুপের মোস্তাফা, আতিকুর রহমান, হেলাল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ঘটনার ৪দিন পর গত ৬ (নভেম্বর) মিলন গ্রুপের যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন কচুয়া থানা।

সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সোহাগের গ্রেফতারের ঘটনায় তার বাবা হারুনুর রশিদ জানান, গত ২ নভেম্বর মিয়ার বাজার এলাকায় বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষীয় সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় আমার ছেলে সোহাগকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।