ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অপরিচিত মেয়ের সাথে

কথা বলতে বারন করায় ওসমান ও বিয়ে করতে বারনে ফাহিমের আ’ত্ম’হ’ত্যা

  • এস. এম ইকবাল
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 306

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একই ইউনিয়নের পৃথক পৃথক বাড়ির কিশোর ফাহিম(১৬) ও যুবক আবু ওসমান (১৮) এক ঘন্টার ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছে।

Model Hospital

আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে থানায় ওসি হানিফ সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর)সন্ধ্যা রাতে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা এলাকার রায়ের বাড়ির ফাহিম(১৬) কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে এবং সর্দার বাড়ির আবু ওসমান (১৮) রাত আনুমানিক আট ঘটিকার সময় নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

ফাহিমের বোন লাবনী জানায়, আমার ছোট ভাই ঢাকায় একটি বেকারিতে চাকরি করতো। তার সাথে এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঝড়িয়ে পড়ে। চার দিন পূর্বে সে বাড়িতে এসে বিয়ে করার জন্য পাগলামি করে। তার বয়স কম দেখে আমার তাকে বিয়ে করতে বারন করি। এজন্য সে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। তারপর তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহিম রায়ের বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলাম ছোট ছেলে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ চাঁদপুর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

একই দিনে একই এলাকার সর্দার বাড়ির আব্দুল মোতালেবের বড় ছেলে আবু ওসমান(১৮) নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, আবু ওসমান মোবাইল ফোন অপরিচিত একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোন মেয়ের সাথে কথা বলতে তার বাবা- মা বারন করায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে বাড়ির লোকজন।

ওসমান বাবা মোতালেব জানান, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। এ বছর সে শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে ওসমানের বাবা আব্দুল মোতালেব জানান, সকাল আমার স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। আমার স্ত্রী ও ছোট ছেলে ও মেয়েকে রেখে সে বিকেলে বাড়িতে চলে আসে। আমি রাতে দোকান বন্ধ করে আটক নাগাদ বাড়িতে এসে দেখি ওসমান তার মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।

ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা জানান, আমার এলাকার দুই বাড়িতে দুই যুবকেরআত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। দুটি আত্মহত্যার ঘটনা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হানিফ সরকার জানান, একই এলাকায় দুই যুবকের আত্মহত্যা সংবাদ রাত ১২টা নাগাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নেই। দুই যুবকের আত্মহত্যা ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। তিন আরো বলেন, আত্মহত্যা একটি সামাজিক অবক্ষয়। এই অবক্ষয় রোধে সচেতন মহল এগিয়ে আসতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চরমোনাই’র নমুনায় মাহফিল সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক কমিটির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

অপরিচিত মেয়ের সাথে

কথা বলতে বারন করায় ওসমান ও বিয়ে করতে বারনে ফাহিমের আ’ত্ম’হ’ত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একই ইউনিয়নের পৃথক পৃথক বাড়ির কিশোর ফাহিম(১৬) ও যুবক আবু ওসমান (১৮) এক ঘন্টার ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছে।

Model Hospital

আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে থানায় ওসি হানিফ সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর)সন্ধ্যা রাতে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা এলাকার রায়ের বাড়ির ফাহিম(১৬) কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে এবং সর্দার বাড়ির আবু ওসমান (১৮) রাত আনুমানিক আট ঘটিকার সময় নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

ফাহিমের বোন লাবনী জানায়, আমার ছোট ভাই ঢাকায় একটি বেকারিতে চাকরি করতো। তার সাথে এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঝড়িয়ে পড়ে। চার দিন পূর্বে সে বাড়িতে এসে বিয়ে করার জন্য পাগলামি করে। তার বয়স কম দেখে আমার তাকে বিয়ে করতে বারন করি। এজন্য সে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। তারপর তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহিম রায়ের বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলাম ছোট ছেলে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ চাঁদপুর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

একই দিনে একই এলাকার সর্দার বাড়ির আব্দুল মোতালেবের বড় ছেলে আবু ওসমান(১৮) নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, আবু ওসমান মোবাইল ফোন অপরিচিত একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোন মেয়ের সাথে কথা বলতে তার বাবা- মা বারন করায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে বাড়ির লোকজন।

ওসমান বাবা মোতালেব জানান, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। এ বছর সে শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে ওসমানের বাবা আব্দুল মোতালেব জানান, সকাল আমার স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। আমার স্ত্রী ও ছোট ছেলে ও মেয়েকে রেখে সে বিকেলে বাড়িতে চলে আসে। আমি রাতে দোকান বন্ধ করে আটক নাগাদ বাড়িতে এসে দেখি ওসমান তার মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।

ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা জানান, আমার এলাকার দুই বাড়িতে দুই যুবকেরআত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। দুটি আত্মহত্যার ঘটনা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হানিফ সরকার জানান, একই এলাকায় দুই যুবকের আত্মহত্যা সংবাদ রাত ১২টা নাগাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নেই। দুই যুবকের আত্মহত্যা ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। তিন আরো বলেন, আত্মহত্যা একটি সামাজিক অবক্ষয়। এই অবক্ষয় রোধে সচেতন মহল এগিয়ে আসতে হবে।