মো. রাছেল : যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ’ খনার বচন হিসেবে অতিপরিচিত এই লাইনটি প্রায় সবারই জানা। এই বচনের মর্মার্থও অতি সহজ। মাঘ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়া দেশের ফসল ফলার জন্য উপকারী। খনার সেই বচন এবার হয়ত বাস্তবে মিলতেও চলেছে।

এ বছরের মাঘ মাস শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বলতে গেলে প্রায় শীতের শেষ বেলা। আর ক’দিন পরেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। তারপরও দেশের অনেক এলাকায় এখনও শীতের দাপট প্রকট।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কচুয়া উপজেলায় কখনো মুষলধারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। মাঘের শীতে বাতাসের সাথে এ রকম বৃষ্টির কারণে বোঝার উপায় নেই এটা শীতকাল নাকি বর্ষাকাল। মাঘের শীতে আষাঢ়ের মতো এমন টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
অসময়ে বৃষ্টির কথা জিঞ্জাসা করতেই কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে শ্রাবণের মতো বর্ষণ হচ্ছে তাতে আলু, পঁয়াজ, সরিষা, কলাইসহ তৈলজাতীয় শস্যের ক্ষতি হবে এবং সবজি চাষিরাও ক্ষতির মুখে পড়বে।

এদিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে মানুষের চলাচলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন দিনমজৃর রিকশাচালক, অটোচালক, ভ্যানচালকনহ নিম্নআয়ের মানুষরা। সড়কেও স্বাভাবিকের চেয়ে যানবাহন চলছে কম। বাড়ছে শীতও।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বোরহান ও শাহ পরান বলেন, সকালে আকাশ ভালো ছিল। দুপুরের পর থেকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় । তার সাথে বাড়ছে শীত। যাত্রী নাই কিন্তু রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ দুটোই কম তাই চলে যাচ্ছি।
দিনমজুর মোস্তাফা বলেন, মাঘ মাসে এমন বৃষ্টি কোনোদিন দেহি নাই। বৃষ্টি কয়দিন থাহে তা আল্লা-ই জানে। দুই চারদিন এ রকম বৃষ্টি থাকলে সরিষা, কলাই, আলু, পেঁয়াজের মতো ফসলের ক্ষতি হবে।