চাঁদপুরের ৮টি উপজেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে ৪১টিই অবৈধ। আর এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

রোববার ও সোমবার (৯ ও ১০ মার্চ) জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইটভাটাগুলো হলো, উপজেলার মেসার্স টুগবি ব্রিক ফিল্ড, ভঙ্গেরগাঁও ব্রিক ফিল্ড ও মানিকরাজ ব্রিক ফ্লিল্ড, গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের পাশে অবস্থিত মহসিন ইমাম ব্রিকস (এম.আই.বি), গল্লাক বাজারে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মেসার্স আয়েশা ব্রিকস (এ.বি.এফ) ও মেসার্স খাদিজা ব্রিকস (এম.কে.বি) ব্রিকস বুলডুজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
দমকল বাহিনী পানি দিয়ে ভাটার চলমান আগুন বন্ধ করে দেয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন। এরপরও যারা বন্ধ করছে না তাদের ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপঙ্কর বড়াই বলেন, জেলায় ৯১ ইটভাটার মধ্যে অধিকাংশ ভাটাই অবৈধ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যারা ভাটা বন্ধ করবেন না, তাদেরগুলো বন্ধে ব্যবস্থা করা হবে। তার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান শুরু হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের আদেশ মতে কাজ শুরু করেছি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক ইটভাটা মালিকদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। ওই সময় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া যেসব ভাটা রয়েছে সেগুলো বন্ধ রাখার জন্য।