ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গাজীপুর।

এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর ঘোষিত অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর প্রথম রাতেই আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।
তিনি বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের বাসভবনে ভাঙচুর করেন ছাত্র-জনতা।
বিজ্ঞাপন
এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মসজিদের মাইকে ডাকাতি প্রবেশের খবর দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন ছাত্র গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর শনিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারিতে) উত্তাল হয়ে উঠে গাজীপুর। ওইদিন বেলা ১টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রজনতা। সেখানে উপস্থিত হন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাদের দেয়া আল্টিমেটামে নড়েচড়ে বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে যৌথ বাহিনী রাতেই গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান।
এছাড়াও ওই রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চলে। রাতভর অভিযানে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়।