চাঁদপুরের কচুয়ার নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবীতে সচেতন নাগরিক সমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কচুয়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী আবুল হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এম. সাইফুল মিজান, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. শাহ এমরান খান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মশাল সামাজিক যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওমর ফারুক সাইম, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে নারীদের ধর্ষণ, নিপীড়ন দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন যায়গায় নারীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়। সামাজিক অবক্ষয় আজ চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে।

গত কয়েক মাসে কচুয়ায় কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় মামলা দায়ের হয় ও কয়েকজন ধর্ষক গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু ধর্ষকদের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা এসব ধর্ষন ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করাসহ মামলার বাদী পক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। ধর্ষকদের যৌন লালসা থেকে বাদ যায়নি বাকপ্রতিবন্ধীও।
কচুয়ার আশ্রাফপুরের প্রতিবন্ধী নারী ফাতেমা আক্তার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হন, গত ৯ মার্চ স্থানীয় হাসপাতালে ফাতেমা বাচ্চা প্রসবের পর পরই মারা যান। কাদলা ইউনিয়নের শাহাপুর বেপারী বাড়ির আল আমিনের ১১ বছর বয়সী কন্যাকে মসজিদের ইমাম আব্দুল মান্নান ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ইমাম মান্নানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
বর্তমানে ইমাম মান্নানের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার নানান অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়াসহ মামলার বাদীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। লক্ষ্য করা যায়, প্রতিটি ধর্ষনের ঘটনায় কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা ধর্ষকদের রক্ষার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
ধর্ষক ও এদের মদদপুষ্ট ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।