সপ্তাহে ১৫০ টাকা বেতনে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল হাকিম। সেই সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের জন্য ভ্যানে করে মাটির হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করতেন তিনি। এরপর নষ্ট হয়ে যায় সেই ভ্যানটিও। পরে আব্দুল হাকিম সাহায্যের জন্য আবেদন করেন শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে।

এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। ওই পোস্টে মুয়াজ্জিন আব্দুল হাকিমের একটি ছবিও যুক্ত করেছেন তিনি।
আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ছবির বৃদ্ধ মানুষটির দিকে হৃদয়ের চোখ দিয়ে তাকান। তার চেহারার মাঝে হয়তো আপনার বাবার ছবি খুঁজে পাবেন।
তিনি সপ্তাহে মাত্র ১৫০ টাকা বেতন পাওয়া এক অভাগা মুয়াজ্জিন।

জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রনরামপুর গ্রামের মুয়াজ্জিন আব্দুল হাকিম। আজানের বিনিময়ে মসজিদ থেকে সাপ্তাহিক সম্মানী পান মাত্র ১৫০ টাকা, যা দিয়ে বর্তমান বাজারে সংসার চালানো আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভব।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, একসময় ভ্যানে করে মাটির হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করতেন তিনি, কিন্তু ভ্যানটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে যায় তার।
দুরবস্থা দেখে মসজিদের ইমাম সাহেব মুয়াজ্জিনের জন্য আমাদের স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পে আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ফাউন্ডেশন তাকে একটি ভ্যান ও মাটির হাঁড়ি-পাতিল কিনে দিয়েছে। যার ফলে আজান দেওয়ার পাশাপাশি তিনি আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে সক্ষম হয়েছেন।
এখন মুয়াজ্জিন আব্দুল হাকিম দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। সপরিবারে তিনি এখন যথেষ্ট সচ্ছল জীবনযাপন করছেন বলেও জানান তিনি।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এভাবেই অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি।