ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ মধ্যরাত থেকে

২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষেধ

মা ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আজ ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

Model Hospital

প্রতি বছর এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার লক্ষে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনা করে এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধলক্ষাধিক জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। জেলেদের সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান জেলেরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনাঘাট মেঘনা পাড়ের জেলে বাবুল জানান, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানি। কিছু কিছু জেলে মানেনা। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটে, সেই খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সাথে আনুষাঙ্গিক জিনিস লাকে, সেই খরচ কিভাবে পাবো।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে।নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোন জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন জেলে যাতে নদীতে নামতে না পারে এবং ইলিশ আহরণ করতে না পারে। আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশে অতিরিক্ত সদস্য রাখা হবে। এছাড়া এবার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, যাতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মনিটরিং করে। পাশাপাশি এবার রোবার স্কাউটকে এই কাজে যুক্ত করা হবে।

ডিসি আরও বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেওয়া হয় এর বাইরে কোন আর্থিক সহায়তার কোন সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র চালই বরাদ্দ পেয়েছি। জেলেরা যে আর্থিক সহায়তার দাবি করেন, আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যাতে তাদের জন্য কিছু করতে পারি।

ট্যাগস :

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ পরিবারকে আমেরিকা প্রবাসী মতলব সমিতির আর্থিক সহায়তা প্রদান 

আজ মধ্যরাত থেকে

২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষেধ

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
মা ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আজ ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

Model Hospital

প্রতি বছর এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার লক্ষে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনা করে এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধলক্ষাধিক জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। জেলেদের সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান জেলেরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনাঘাট মেঘনা পাড়ের জেলে বাবুল জানান, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানি। কিছু কিছু জেলে মানেনা। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটে, সেই খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সাথে আনুষাঙ্গিক জিনিস লাকে, সেই খরচ কিভাবে পাবো।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে।নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোন জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন জেলে যাতে নদীতে নামতে না পারে এবং ইলিশ আহরণ করতে না পারে। আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশে অতিরিক্ত সদস্য রাখা হবে। এছাড়া এবার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, যাতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মনিটরিং করে। পাশাপাশি এবার রোবার স্কাউটকে এই কাজে যুক্ত করা হবে।

ডিসি আরও বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেওয়া হয় এর বাইরে কোন আর্থিক সহায়তার কোন সুযোগ নেই। আমরা শুধুমাত্র চালই বরাদ্দ পেয়েছি। জেলেরা যে আর্থিক সহায়তার দাবি করেন, আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যাতে তাদের জন্য কিছু করতে পারি।