ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় বিষ প্রয়োগে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগের মাছ নিধন।

কচুয়ায় এক মৎস্য চাষীর ৩টি প্রজেক্টে ৩ একর জমিতে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

Model Hospital

বিকেলে মাছ গুলো পুকুরে ভেসে উঠতে দেখে, পরে এসে দেখি পুকুরে থাকা সব মাছ মারা যায়। ধারনা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার সকালে ৩টি প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে প্রায় ১শত মন মাছ মারা যায়।

মৎস্য চাষী কামাল গাজী জানান, গত ১ মাস ধরে মানুষের কাছ থেকে জমি নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে বড় চাইজের রুই, কাতল, মৃগেল ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পুকুর গুলোতে মাছ চাষ করছি।

বৃহস্পতিবার সকালে কে বা কাহারা পুকুর গুলোতে বিষ প্রয়োগ করেছিলে আমি টের পাইনি। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে মাছ গুলো পুকুরে ভেসে উঠতে থাকলে আমি টের পাই। পরে সামান্য কিছু মরা মাছ কম দামে বিক্রি করি। বাকী প্রায় সব মাছ গুলো মরে পঁচে গেছে।

বিষ প্রয়োগের কারনে প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকা আমার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিভাবে এনজিও ঋণ পরিশোধ করবো সেই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন পুকুরে মাছের চাষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কে বা কাহারা কামাল গাজীর মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে।

এভাবে যদি ব্যবসায়ীদের শত্রু সৃষ্টি হয় তাহলে ভবিষ্যৎতে কেউ মৎস্য ব্যবসায় আগ্রহী হবেন না। মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাছেল জানান, কচুয়ায় মাছের ঘাটতি রয়েছে। যদি এইভাবে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বুত্তরা মাছ নিধন করতে থাকে, তাহলে মাছের আরো সংকট দেখা দিবে। দ্রুত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে দুস্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ পরিবারকে আমেরিকা প্রবাসী মতলব সমিতির আর্থিক সহায়তা প্রদান 

কচুয়ায় বিষ প্রয়োগে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কচুয়ায় এক মৎস্য চাষীর ৩টি প্রজেক্টে ৩ একর জমিতে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

Model Hospital

বিকেলে মাছ গুলো পুকুরে ভেসে উঠতে দেখে, পরে এসে দেখি পুকুরে থাকা সব মাছ মারা যায়। ধারনা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার সকালে ৩টি প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে প্রায় ১শত মন মাছ মারা যায়।

মৎস্য চাষী কামাল গাজী জানান, গত ১ মাস ধরে মানুষের কাছ থেকে জমি নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে বড় চাইজের রুই, কাতল, মৃগেল ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পুকুর গুলোতে মাছ চাষ করছি।

বৃহস্পতিবার সকালে কে বা কাহারা পুকুর গুলোতে বিষ প্রয়োগ করেছিলে আমি টের পাইনি। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে মাছ গুলো পুকুরে ভেসে উঠতে থাকলে আমি টের পাই। পরে সামান্য কিছু মরা মাছ কম দামে বিক্রি করি। বাকী প্রায় সব মাছ গুলো মরে পঁচে গেছে।

বিষ প্রয়োগের কারনে প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকা আমার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিভাবে এনজিও ঋণ পরিশোধ করবো সেই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন পুকুরে মাছের চাষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কে বা কাহারা কামাল গাজীর মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে।

এভাবে যদি ব্যবসায়ীদের শত্রু সৃষ্টি হয় তাহলে ভবিষ্যৎতে কেউ মৎস্য ব্যবসায় আগ্রহী হবেন না। মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাছেল জানান, কচুয়ায় মাছের ঘাটতি রয়েছে। যদি এইভাবে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বুত্তরা মাছ নিধন করতে থাকে, তাহলে মাছের আরো সংকট দেখা দিবে। দ্রুত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে দুস্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।