চাঁদপুরের কচুয়ায় হঠাৎ আবহাওয়া পরির্বতনের ফলে দিনে বেলায় গরম ও রাতের বেলায় ঠান্ডা জনিত কারণে মানুষের মধ্যে রোগ ব্যাধির পাশাপাশি কৃষি জমিতে ও রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রমজানের শুরু থেকে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় রোগের প্রবনতা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। মধ্য রাতের পর থেকে হাঁড়কাঁপুনি ঠান্ডা শুরু হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মাঝে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের মাত্রা বেড়ে গেছে।
এছাড়াও ঠোঁট ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যাচ্ছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা বলেন, আকস্মিক ভাবে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে জ¦র, সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্ট জনিত রোগ বেড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতে ঠান্ডার প্রকোপ কমে আসলে এসব রোগও কমে আসবে।

এদিকে শেষ রাত থেকে শুরু হয় ঘণকুয়াশা। যার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ইরি বোরো ধানক্ষেত। ধানক্ষেতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত রোগের কারণে ধান গাছের পাতা জ¦লছে ও লাল রঙ হয়ে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে বিনষ্ট হচ্ছে আমের মুকুল, ঝরে পড়ে গুটি আম। ব্যাপক হারে গুটি আম ঝরে পড়ায় আম চাষীরাও হতাশ হয়ে পড়েছে।
গুটি আম ঝরে পড়া রোধ করতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, প্লানোফিক্স বা মিরাকুলান প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি করে স্প্রে ও পাশাপাশি ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া ধানের জমিতে ব্লাষ্ট ও বিএলবি রোগের প্রতিশেধক হিসেবে ট্রাইসাইক্লাজল ও কাসুগামাইসিন গ্রুপের ঔষধ ধানের জমিতে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যাবে।