হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস ও বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী বলেছেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির বারতা নিয়ে আবারো আমাদের মাঝে হাজির হচ্ছে মহিমান্বিত মাস পবিত্র মাহে রমজান। তাই এ মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে নিজেদের গুনাহ মাফে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি প্রান্তিক শ্রেণির রোজাদারদের সিয়াম পালমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, নামাজ রোজার মতই যাকাত আদায় করা একটি ফরজ ইবাদত। একজন মুসলমান হিসেবে নামাজ ও রোজার ফরজ বিধানকে আমরা সঠিকভাবে পালন করলেও যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যাকাত হলো সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জন করার সর্বোত্তমপন্থা এবং এটা দরিদ্র ও হতবঞ্চিতদের হক।
তিনি আরও বলেন, এই হক তাদের কাছে নির্ধারিত নিয়মে পৌঁছানো জরুরি। পবিত্র কুরআনে যেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে নামাজের কথা বলা হয়েছে, সাথে সাথেই যাকাতের কথাও সেখানে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে যাকাত প্রদানের ৮টি খাত রয়েছে। সুতরাং সম্পদশালী ব্যক্তিকে ঈমানদার হতে গেলে অবশ্যই তার সম্পদের যথাযথ হিসাব কিরে নির্ধারিত যাকাত দিতে হবে। যাকাত ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই আর্ত-মানবতার অর্থনৈতিক মুক্তি রয়েছে। আর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই যাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি সাহেবে নেসাবগনকে রমজানের শুরুতেই যাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত বন্দিগীতে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর এডভোকেট শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলায়েত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সবুজ, শহর জামায়াতের প্রবীণ সদস্য কাজী মুরাদ, শুরার সদস্য সফিক সেলিম, এড. মামুন মিয়াজী, গোলাম মাওলা।