ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ বছরে পদার্পণ করলো বাঁধন পাঠাগার

২০ বছরে পদার্পণ করলো বাঁধন পাঠাগার।

‘যতোই হোক ক্লেস, যুবরাই গড়বে দেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে গত ২০বছর আগে  চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাধঁন পাঠাগার।
সমাজে যখন চলছিল কুসংস্কার এবং বিভিন্ন অনিয়ম ঘুষ ও দুর্নীতির কার্যক্রম ঠিক সে সময়ই ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজীকান্দি গ্রামে বাঁধন পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসুল ঢালী ও গ্রামের কিছু শিক্ষিত তরুণরা মিলে দিনবদলের পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে।
২০০৫সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাঁধন পাঠাগারটি। তৎকালীন তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদা, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র আমেনা বেগম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, একটি জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শুভ উদ্বোধন করেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ শিক্ষা, ক্রীড়া, মানবসেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, শূন্য থেকে ৫বছরের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ এবং হাতে-কলমে শিক্ষা দান সহ নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সমাজ এবং দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বয়স্ক নারী ও যুবতীদের কুরআন শিক্ষা এবং হাদিসের আলোকে ইসলামিক শিক্ষা প্রদান, প্রতিবছর বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল, অসহায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা, কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করা, প্রতি রমজানে ইফতার বিতরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল পাঠাগারটি।
২০ বছরের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া এলাকায় সার্থক হয়েছে কুসংস্কার, সামাজিক অনিয়ম কমেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে, মেধাবির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাঁধন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসুল ঢালী জানান, গত ২০ বছর আগে আমি সহ আমাদের গ্রামের সকলের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছিলাম এই প্রতিষ্ঠানটি। যা আজও সুনামের সাথে চলমান রয়েছে। তবে কয়েক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতি হলেও এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কয়েকটি বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। বাঁধন পাঠাগারটি মাধ্যমে অতীতের সকল কার্যক্রমের সাথে আরো কিছু নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যমত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
তিনি আরও বলেন, যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আমি সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ। এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা করার জন্য আমার গ্রামবাসী আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমি আশাবাদী।
ট্যাগস :

শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লো শিক্ষক

২০ বছরে পদার্পণ করলো বাঁধন পাঠাগার

আপডেট সময় : ১১:৫২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
‘যতোই হোক ক্লেস, যুবরাই গড়বে দেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে গত ২০বছর আগে  চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাধঁন পাঠাগার।
সমাজে যখন চলছিল কুসংস্কার এবং বিভিন্ন অনিয়ম ঘুষ ও দুর্নীতির কার্যক্রম ঠিক সে সময়ই ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজীকান্দি গ্রামে বাঁধন পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসুল ঢালী ও গ্রামের কিছু শিক্ষিত তরুণরা মিলে দিনবদলের পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে।
২০০৫সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাঁধন পাঠাগারটি। তৎকালীন তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদা, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র আমেনা বেগম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, একটি জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শুভ উদ্বোধন করেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ শিক্ষা, ক্রীড়া, মানবসেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, শূন্য থেকে ৫বছরের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ এবং হাতে-কলমে শিক্ষা দান সহ নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সমাজ এবং দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বয়স্ক নারী ও যুবতীদের কুরআন শিক্ষা এবং হাদিসের আলোকে ইসলামিক শিক্ষা প্রদান, প্রতিবছর বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল, অসহায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা, কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করা, প্রতি রমজানে ইফতার বিতরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল পাঠাগারটি।
২০ বছরের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া এলাকায় সার্থক হয়েছে কুসংস্কার, সামাজিক অনিয়ম কমেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে, মেধাবির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাঁধন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসুল ঢালী জানান, গত ২০ বছর আগে আমি সহ আমাদের গ্রামের সকলের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছিলাম এই প্রতিষ্ঠানটি। যা আজও সুনামের সাথে চলমান রয়েছে। তবে কয়েক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতি হলেও এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কয়েকটি বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। বাঁধন পাঠাগারটি মাধ্যমে অতীতের সকল কার্যক্রমের সাথে আরো কিছু নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যমত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
তিনি আরও বলেন, যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আমি সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ। এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা করার জন্য আমার গ্রামবাসী আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমি আশাবাদী।