চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ‘সরকারবিরোধী’ লিফলেট বিতরণের অভিযোগে ৭ জনকে আটকের পর তথ্য যাছাই-বাছাই করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে গতকাল রাতে পুলিশের বরাতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শাহরাস্তি থানা উপ-পরিদর্শক আল আমিন ভুঁইয়া বলেন, ‘প্রথমে তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাই। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলাম। তাদের লিফলেট ও ৮ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জে জনসভার জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র দেখায়। তারপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা মূলত তাদের জনসমাবেশের লিফলেট বিতরণ করেছিল।’

এর আগে বুধবার দুপুরে শাহরাস্তির মেহের কালীবাড়ি বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ইনসানিয়াত বিপ্লব চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ করা হয়। খবর পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনার শিকার ইনসানিয়াত বিপ্লবের চাঁদপুর জেলা শাখার নেতাকর্মীরা হলো–হাজীগঞ্জ উপজেলার কংগাইশ গ্রামের মাহমুদুল হাসান নয়ন (৩০), একই উপজেলার প্রফেসর পাড়ার মেহেদী হাসান সৈকত (২৭), দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের মনোয়ার হোসেন (২৬), টোরাগড় গ্রামের সিহাব হোসেন (২০), শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক গ্রামের মেহেদী হাসান (১৮) ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মুকসাইব গ্রামের হাসাইন মোহাম্মদ জিহাদ (২২)।
এ বিষয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাঈনুদ্দিন টিটু বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে পুলিশ বিষয়টি যাছাই-বাছাই শেষে আমাদের কর্মীদের ছেড়ে দেয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার হাজীগঞ্জ বাজারে ইনসানিয়াত বিপ্লবের জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই জনসভায় জনসমাগম বাড়াতে এই লিফলেট বিতরণ করে তারা।’