শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখার অধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক মো.আবুল কালাম যোগদান করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে পরিচালনা পর্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নাজমীর হোসেন মজুমদার, মো.হুমায়ুন কবির, স্কুল শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.নাজির আহমেদ এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতে তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পরে সকাল থেকে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, হেলপিং হ্যান্ড স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা,এলাকার বিশিষ্ট জন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
ওই সময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত ও দয়ায় আমি এ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছি।
আমার বর্ণাঢ্যময় শিক্ষকতা জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা এই কলেজ প্রতিষ্ঠানে নিবেদন করব।
এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান দাতা সদস্য ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি তার দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ, মো.আবুল কালাম ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে লাকসামের নীলকান্ত কলেজে (বর্তমানে নীলকান্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজ) রসায়ন বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে ১৯৯২ সলে শাহরাস্তির সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজে একই পদে যোগদান করে ২০০২ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে একই পদে থেকে ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারী অবসর গ্রহন করেন। ঐ সময়ে তিনি সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউটস শিক্ষক, উপজেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক ও জেলার শ্রেষ্ঠ বিতর্ক শিক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন। এ বছর ২২ জানুয়ারি চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজে একাডেমিক এডভাইজার হিসেবে যোগদান করেন এবং ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তার স্ত্রী মনোয়ারা খানম সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছরের ১ ফ্রেরুয়ারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।
তিনি ২ সন্তানের জনক। বড় ছেলে ডা.মোনতাসির কালাম নাবিল লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
ছোট ছেলে মো. মোবাশ্বির কালাম নাহিন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
ওইসময় শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সহ-সভাপতি মো: মাসুদ রানা, সাধারন সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজ কল্যাণ সমিতি সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার পাটোয়ারী, শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রভাষক মোহাম্মদ আলী(উচ্চতর গনিত), প্রভাষক কাউসার আলম (সমাজ কর্ম), প্রভাষক শামসুদ্দিন (ব্যবস্হাপনা), প্রভাষক রত্না রাণি দেবনাথ (পৌরনীতি ও সুশাসন), প্রভাষক রিক্তা রাণি দেবনাথ(ইংরেজি), প্রভাষক হাফিজুর রহমান (অর্থনীতি), প্রভাষক সোনিয়া আক্তার (উৎপাদন ব্যবস্হাপনা ও বিপনন), প্রভাষক সালমা আক্তার (হিসাব বিজ্ঞান) প্রভাষক সাদিয়া আফরিন (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), প্রভাষক জাকির হোসেন (বাংলা), প্রভাষক ইমরাতুল জান্নাত (জীব বিজ্ঞান)।