সজীব খান : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের কক্ষে একজন পিয়ন বসবাস করার অভিযোগ উঠছে।
অভিযুক্ত ওই পিয়ন ৬ মাস যাবত অফিসটিকে বাস গৃহে পরিণত কর।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এমএলএসএস মুজাম্মেল হক বলেন, তাকে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা সেখানে থাকতে দিয়েছেন । শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবৎ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নেই। এতে সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংরক্ষিত কক্ষটির ভিতর প্রতিনিয়ত ধূমপানে পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলছেন পিয়ন। এতে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আগন্তক রোগীদের মধ্যে শিশু বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীরা সহ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে গতকাল হঠাৎ করে দুপুর শাহমাহমুদপুরের ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কারো সন্ধান মিলে নাই। অত্র কার্যালয়ের প্রধান কর্তার কক্ষের দরজায় তালা লাগানো, শুধু উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের কক্ষের তালা খোলা, সেখানে বসে কেউ একজন ধূমপান করছে।
অনুসন্ধানে তার পরিচয় জানা যায় সে ওই অফিসের পিয়ন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পিয়ন জানান তিনি এখানে গত ৬ মাস ধরে বাস করছেন। এখানে তাকে ইউপি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা থাকতে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ওই পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা জাহানারা বেগমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবেন।
এদিকে উত্থাপিত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এ অবস্থার পরিত্রান চেয়ে স্বাস্থ্য সেবার দাবি করেন।
সম্পাদনায় : মাসুদ রানা, প্রধান বার্তা সম্পাদক, প্রিয় চাঁদপুর।