ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব (ডিআইইউডিসি) আয়োজনে শুরু হয়েছে ” ‘আমিও জিততে চাই’ ডিআইউডিসি বিতর্ক মহাযজ্ঞ ১৪৩১”, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে তিনদিন ব্যাপী এ আয়োজন শেষ হবে ২৬ অক্টোবর হবে।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এ আয়োজনে সহায়তা করছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। আয়োজকরা মনে করছেন “আমিও জিততে চাই” ক্যাম্পেইনের অধীনে এই ফেস্টিভ্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে তারা জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করবে এবং নিজস্ব সৃজনশীলতা দেখাতে পারবে।
বিতর্ক উৎসবের উদ্দেশ্য তরুনদের ক্ষমতায়ন, নাগরিক সচেতনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার করা। এ উৎেসবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের ৬৪টি বিতর্ক দল অংশ নিয়ে সাংস্কৃতিক ও ইন্টারেক্টিভ কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছে। তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনে যুবদের কণ্ঠস্বর নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরার জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার এর উদ্বোধন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি চিফ অব পার্টি আমিনুল এহসান। ২৪ অক্টোবর উদ্বোধনী দিনে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন। দ্বিতীয় দিন ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিতর্ক, কর্মশালা, থিয়েটার পারফরম্যান্স এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। তৃতীয় ও শেষ দিন ২৬ অক্টোবর, ফাইনাল রাউন্ড, শো ডিবেট, নীতি সংলাপ এবং পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।
বিতর্ক মহাযজ্ঞের প্রধান বিচারক সুমিত কর্মকার বলেন, “বিতর্ক সমাজের সঠিক ও ভুল দিকগুলো তুলে ধরে, স্থবির ধারণাকে নাড়া দেয় এবং নতুন চিন্তার জন্ম দেয়।” নাসির উদ্দিন, প্রাক্তন সভাপতি (এনএসইউডিসি) আরও যোগ করেন, “বিতর্ক সমাজের অন্ধকার কোণগুলো আলোকিত করে এবং বিভিন্ন মতামতকে একত্রিত করে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।”
উৎসবের প্রধান ইভেন্ট হবে পার্লামেন্টারি ডিবেট প্রতিযোগিতা, যেখানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় দল এবং ৩২টি স্কুল দল সাতটি রাউন্ডে অংশ নেবে। বিতর্কের বিষয়গুলো হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সড়ক নিরাপত্তা এবং জাতিগত অধিকার নিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে “আমিও জিততে চাই” শিরোনামে এক মিনিটের ভিডিও বার্তা চাওয়া হবে, যেখানে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে তারা কিভাবে চায় তা প্রকাশ পাবে। সেরা তিনটি ভিডিও বিশেষ স্বীকৃতি পাবে। এছাড়া ‘ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র: যুব প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক নীতি সংলাপ, থিম্যাটিক কর্মশালা, থিয়েটার পারফরম্যান্স এবং কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। প্রাক্তন বিতার্কিক ও পেশাজীবীদের নিয়ে শো ডিবেটও আয়োজন করা হবে, যেখানে যুব সম্পর্কিত নীতি বিষয়ে আলোচনা হবে।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের অধীনে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইন বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছাড়াও দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা ও ক্যাম্পাসে নাট্য প্রদর্শনী ও আলোচনার মাধ্যমে নাগরিক প্রত্যাশা তুলে ধরতে কাজ করছে। এতে করে তরুণসহ সমাজের নানা শ্রেনি পেশা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।