ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের অনুরোধে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি; মিঠুন ভদ্র

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক ছাত্র নেতা ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী সত্যব্রত ভদ্র (মিঠুন ভদ্র) বলেছেন, পারিবারিক ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে এদলের রাজনীতি করছি, ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির মধ্য দিয়ে হাজীপুর উপজেলা বাসীর সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সুখ দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম।

Model Hospital

তাই এই উপজেলা বাসীর সর্বস্তরের জনগণ ও দলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন,এই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবারের মতো এই উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু কখনো আর্দশ থেকে কখনো সরে দাঁড়াইনি।

তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের বিগত সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সবাই একই আর্দশের রাজনৈতিক দলের কর্মী বা একই পরিবারের সদস্য। রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত আপনাদের সাথে ছিলাম আমৃত্যু থাকবো।

প্রিয় কাউন্সিলর ও ডেলিগেট বন্ধুরা আমি আপনাদের ভাই হিসেবে সন্মেলনে আমি আপনাদের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, কিশোর বয়স থেকে এ দলের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর যখন কেউ আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিতো না, তখন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আঃ রব এমপি, অ্যাডঃ আবু জাফর মাঈনুদ্দিন দের সাথে কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেন।

তিনি ১৯৮৩ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি, ১৯৮৭ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৯ হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি, ১৯৯২ সালে একই উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ছাএ রাজনীতি শেষে ২০০৬ সাল থেকে দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ২০১২ সাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনি এই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে কিশোর বয়স থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২৯ টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ২৯ বার গ্রেফতার, বেশ কয়েকবার কারাবরন, স্বৈরাচার এরশাদ ও জিয়া ও খালেদা জিয়া সরকারের মেয়াদকালে মোট ১৮ বার হত্যা চেষ্টার শিকার হন। ছাত্রলীগ করা বা নেতা হওয়ার কারণে বিএনপি জামাত সরকার মেয়াদে পিতা মাতা, ভাই বোনদের অপমানিত করা হয় ও কয়েক বার বাসা বাড়িতে আগুন সন্তাস,হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

১৯৯৩ -১৯৯৪ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিুল ইসলাম বীর উত্তম হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি আসনে নৌকা প্রতীককে নির্বাচন করতে আসলে ঐ সময়ের হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মিঠুন ভদ্রের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার ছাত্র লীগ কে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করে প্রায় ২ যুগ পর আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেন।

তিনি ছাত্র লীগের নেতৃত্বকালে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্র লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও ওয়ার্ড ছাত্র লীগের কমিটি করে আলোচনায় আসেন। তন্মধ্যে ২৫ টি হাই স্কুল বা উচ্চ বিদ্যালয়,১৪ টি মাদ্রাসা, ৪ টি কলেজ, ১টি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন, ১০৮ টি ওয়ার্ড ছাত্র লীগের কমিটি করে তিনি তৎকালীন ছাত্র লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে প্রশংসা অর্জন করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের অনুরোধে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি; মিঠুন ভদ্র

আপডেট সময় : ০৪:০০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক ছাত্র নেতা ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী সত্যব্রত ভদ্র (মিঠুন ভদ্র) বলেছেন, পারিবারিক ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে এদলের রাজনীতি করছি, ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির মধ্য দিয়ে হাজীপুর উপজেলা বাসীর সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সুখ দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম।

Model Hospital

তাই এই উপজেলা বাসীর সর্বস্তরের জনগণ ও দলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন,এই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবারের মতো এই উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু কখনো আর্দশ থেকে কখনো সরে দাঁড়াইনি।

তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের বিগত সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সবাই একই আর্দশের রাজনৈতিক দলের কর্মী বা একই পরিবারের সদস্য। রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত আপনাদের সাথে ছিলাম আমৃত্যু থাকবো।

প্রিয় কাউন্সিলর ও ডেলিগেট বন্ধুরা আমি আপনাদের ভাই হিসেবে সন্মেলনে আমি আপনাদের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, কিশোর বয়স থেকে এ দলের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর যখন কেউ আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিতো না, তখন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আঃ রব এমপি, অ্যাডঃ আবু জাফর মাঈনুদ্দিন দের সাথে কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেন।

তিনি ১৯৮৩ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি, ১৯৮৭ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৯ হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি, ১৯৯২ সালে একই উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ছাএ রাজনীতি শেষে ২০০৬ সাল থেকে দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ২০১২ সাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনি এই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে কিশোর বয়স থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২৯ টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ২৯ বার গ্রেফতার, বেশ কয়েকবার কারাবরন, স্বৈরাচার এরশাদ ও জিয়া ও খালেদা জিয়া সরকারের মেয়াদকালে মোট ১৮ বার হত্যা চেষ্টার শিকার হন। ছাত্রলীগ করা বা নেতা হওয়ার কারণে বিএনপি জামাত সরকার মেয়াদে পিতা মাতা, ভাই বোনদের অপমানিত করা হয় ও কয়েক বার বাসা বাড়িতে আগুন সন্তাস,হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

১৯৯৩ -১৯৯৪ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিুল ইসলাম বীর উত্তম হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি আসনে নৌকা প্রতীককে নির্বাচন করতে আসলে ঐ সময়ের হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মিঠুন ভদ্রের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার ছাত্র লীগ কে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করে প্রায় ২ যুগ পর আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেন।

তিনি ছাত্র লীগের নেতৃত্বকালে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্র লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও ওয়ার্ড ছাত্র লীগের কমিটি করে আলোচনায় আসেন। তন্মধ্যে ২৫ টি হাই স্কুল বা উচ্চ বিদ্যালয়,১৪ টি মাদ্রাসা, ৪ টি কলেজ, ১টি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন, ১০৮ টি ওয়ার্ড ছাত্র লীগের কমিটি করে তিনি তৎকালীন ছাত্র লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে প্রশংসা অর্জন করেন।