ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর সদরে

জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত

সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নাগরিকদের সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সখাওয়াত জামিল সৈকত।

Model Hospital

২০২৩ সালের (১৭ আগস্ট)’ তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকে চাঁদপুরবাসীকে সেবা দানে নিরলসভাবে কাজ করছেন। সাধারণত কাজের বলিয়ম হঠাৎ বেশি হলে বা গতানুগতিক কাজের চেয়ে বেশি পরিমান কাজের চাপ থাকলে বাড়তি বা নিয়মিত কর্মঘন্টার বাহিরে কাজ করেন তিনি। সরকারি নির্ধারিত সময়ের পরও বাসায় ফাইল নিয়ে যান এবং স্বাক্ষর করেন। তারপরও দক্ষতার সহিত নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এর উপর প্রায় ২৫০টি পদের ভার দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সদরের ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক মনিটরিং দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ভাতা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, মাতৃত্ব ভাতা, চোরাচালান প্রতিরোধ, এনজিও সমন্বয়, টেন্ডার, টিআর- কাবিটা, বিভিন্ন দিবস উদযাপন, বিআইব্লিউবিসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও। এখন সমন্বয় সভাও পরিচালনা করতে হচ্ছে। সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব ইউএনওদের কাঁধে।

চাঁদপুর পৌরসভার বাহিরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ৩৫টি। সদরে পৌরসভার বাহিরে দাখিল ও আলিম পর্যায়ের প্রায় ১৫টি মাদ্রাসা রয়েছে। পৌরসভার বাহিরে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ আছে ২টি। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করতে হয় ইউএনওকে। দেখতে হয় তাদের ফাইলপত্রও। কোনো প্রতিষ্ঠানের মামলা থাকলে সেখানে বাড়তি সময় ব্যয় হয়।

এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে তাঁকে প্রায় ২শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকায় এভাবে অন্তত প্রায় কমবেশি ২৫০টি পদের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে ইউএনওর।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির ৯টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আর ৮টিতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েকটি কমিটিতে উপদেষ্টা এবং ৮ থেকে ১০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন। তবে তারা না থাকায় সব কমিটির দায়িত্ব এখন ইউএনওর কাঁধে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদ দখলের প্রতিযোগিতা চলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর মধ্যে। এ জন্য আর্থিক লেনদেন থেকে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। পদ না পেলে দাঙ্গা-হাঙ্গামাও বেধে যায়। সমস্যা হলে এসব পদের দায়িত্ব সামলান ইউএনওরা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তাদের সে সুযোগ নেই। পদাধিকার বলে সব সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ইউএনও।

জানা যায়: উপজেলা পর্যায়ে একজন ইউএনও স্বাভাবিকভাবে ৪০ থেকে ৪৫টি কমিটির সভাপতি থাকেন। এর সঙ্গে এখন আরও অন্তত ২ শতাধিক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে আছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, সদরে প্রায় ৫০টি মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বেতন বিল যথেষ্ট যাচাই করে স্বাক্ষর করি যাতে কোন ভুলের অবকাশ না থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ১৫০ দিনে কোরআনে হাফেজ হলেন ফাহিম

চাঁদপুর সদরে

জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত

আপডেট সময় : ০৪:৪১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নাগরিকদের সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সখাওয়াত জামিল সৈকত।

Model Hospital

২০২৩ সালের (১৭ আগস্ট)’ তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকে চাঁদপুরবাসীকে সেবা দানে নিরলসভাবে কাজ করছেন। সাধারণত কাজের বলিয়ম হঠাৎ বেশি হলে বা গতানুগতিক কাজের চেয়ে বেশি পরিমান কাজের চাপ থাকলে বাড়তি বা নিয়মিত কর্মঘন্টার বাহিরে কাজ করেন তিনি। সরকারি নির্ধারিত সময়ের পরও বাসায় ফাইল নিয়ে যান এবং স্বাক্ষর করেন। তারপরও দক্ষতার সহিত নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এর উপর প্রায় ২৫০টি পদের ভার দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সদরের ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক মনিটরিং দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ভাতা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, মাতৃত্ব ভাতা, চোরাচালান প্রতিরোধ, এনজিও সমন্বয়, টেন্ডার, টিআর- কাবিটা, বিভিন্ন দিবস উদযাপন, বিআইব্লিউবিসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও। এখন সমন্বয় সভাও পরিচালনা করতে হচ্ছে। সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব ইউএনওদের কাঁধে।

চাঁদপুর পৌরসভার বাহিরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ৩৫টি। সদরে পৌরসভার বাহিরে দাখিল ও আলিম পর্যায়ের প্রায় ১৫টি মাদ্রাসা রয়েছে। পৌরসভার বাহিরে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ আছে ২টি। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করতে হয় ইউএনওকে। দেখতে হয় তাদের ফাইলপত্রও। কোনো প্রতিষ্ঠানের মামলা থাকলে সেখানে বাড়তি সময় ব্যয় হয়।

এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে তাঁকে প্রায় ২শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকায় এভাবে অন্তত প্রায় কমবেশি ২৫০টি পদের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে ইউএনওর।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির ৯টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আর ৮টিতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েকটি কমিটিতে উপদেষ্টা এবং ৮ থেকে ১০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন। তবে তারা না থাকায় সব কমিটির দায়িত্ব এখন ইউএনওর কাঁধে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদ দখলের প্রতিযোগিতা চলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর মধ্যে। এ জন্য আর্থিক লেনদেন থেকে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। পদ না পেলে দাঙ্গা-হাঙ্গামাও বেধে যায়। সমস্যা হলে এসব পদের দায়িত্ব সামলান ইউএনওরা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তাদের সে সুযোগ নেই। পদাধিকার বলে সব সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ইউএনও।

জানা যায়: উপজেলা পর্যায়ে একজন ইউএনও স্বাভাবিকভাবে ৪০ থেকে ৪৫টি কমিটির সভাপতি থাকেন। এর সঙ্গে এখন আরও অন্তত ২ শতাধিক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে আছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, সদরে প্রায় ৫০টি মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বেতন বিল যথেষ্ট যাচাই করে স্বাক্ষর করি যাতে কোন ভুলের অবকাশ না থাকে।