সজীব খান : মার্চ এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণের অভিযান চলমান রয়েছে। এ দুই মান নদীতে মাছ নিধনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সরকার জেলেদের বিকল্প আয়ের জন্য সেলাই মেশিন, মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এরপর ও চাঁদপুরের কিছু অসাধূ জেলে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জাটকা নিধন ও বিক্রি করছে। জাটকা সংরক্ষণের অভিযান বাস্তবায়নের জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নের্তৃত্বে জেলা পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ. কোস্টগার্ড কঠোব ভাবে অভিযান পারচালনা করা হচ্ছে। দিনরাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। এরপর ও নদীতে জাটকা নিধন চলছে। আর সে জাটকা বিভিন্ন মাধ্যমে চাঁদপুরের গ্রাম অঞ্চলে ভ্রাম্যমান ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথমে মাছ আছে বলে তারা ডাক দেন, ক্রেতা আসলে জাটকা দেখিয়ে ক্রেতাদের লোভে পেলিয়ে জাটকা বিক্রি করে দ্রুত অবস্থান ত্যাগ করেন।
জাটকা রক্ষার্থে সরকার দুই মাস নদীতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ নিধন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা করলে ও চাঁদপুরে কিছু কিছু স্থানে রানীতিক কিছু অসাধু ব্যাক্তির ছত্রছায়া জাটকা ইলিশ নিধন অব্যাহত রয়েছে। তারা বিভিন্ন সোসের মাধ্যমে দিনের ও রাতের বিভিন্ন সময়ে নদীতে জাটকা ইলিশ বিক্রি করছে । কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে থেতে থেমে সোসের মাধ্যমে গ্রামের সরু পথে অব্যবহারযোগী রুট ব্যবহার করে জাটকা বিক্রি করছে।
বুধবার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। দুপুরে ভ্যানে করে উপরে অল্প কয়েকটা অন্য মাছ রেখে ভেতরে জাটকা রেখে নতুন কৌশল অবলম্বন করে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এত কঠোর আইনি ব্যবস্থার পর ও জেলেরা কিভাবে নদীতে জাটকা ইলিশ ধরছে।
এমন নানাহ প্রশ্ন মানুষের মাছে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইলিশ যেখানে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের রয়েছে, সেখানে কিভাবে জাটকা নিধন করে রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এ বছর জাটকা সংরক্ষণের জন্য ভাবে মাঠে কাজ করছে, তা সর্বস্তরে প্রশংসা রয়েছে। এরপর ও কিছু অমানুষ জাটকা নিধন করে মা ইলিশ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এদেরকে সবাই সনাক্ত করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ দাবি জানিয়েছে।