চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় কয়েকদিন ধরে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী। এলাকায় এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাতের খবর প্রচার করা হচ্ছে সেই খবর আবার সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে পোস্ট করে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকের পোস্ট দেখে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ডাকাত প্রতিরোধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে পড়ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নে রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২ টার মধ্যে ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের মসজিদে-মসজিদে মাইকে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। এতে ১৬ গ্রামের অধিবাসীরা সতর্ক অবস্থান নিয়ে ডাকাত প্রতিরোধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওসমান গনি পলাশ চৌধুরী, মিজানুর রহমান ও স্কুল শিক্ষক আবিদ আলী জানান, রাত প্রায় ১১টার দিকে মিয়ার বাজার এলাকায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে চলাফেরা করতে দেখে এলাকার লোকজনরা তাকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে বেধে রেখে বেধড়ক মারধর করে। ডাকাত আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সকল মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকাত সন্দেহে আটক ব্যক্তিটি পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন শাহাদাত হোসেন (৩২)।

তারা আরো জানান, সম্প্রতি এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। রাত ৯টার পর লোকজনরা বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়ায় চোর, ডাকাতের আতঙ্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা বেশি ভয়-ভীতি নিয়ে চলাচলা করছে। তারা সারাদিনের বেঁচা বিক্রির টাকা না পারছে ব্যাংকে জমা দিতে না পারছে বাড়িতে রাখতে। ব্যাংকে টাকা জমা দিলে পরের দিন আর ব্যাংক থেকে টাকা দিচ্ছে না। এই ভয়ে তারা ব্যাংকে টাকা রাখতে চাচ্ছে না। আবার বাড়িতে টাকা রাখলে ডাকাত আতঙ্ক। এভাবে পার করছে মানুষ দিনকাল।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, যেখান থেকে খবর আসে ডাকাত আতঙ্ক সেইখানে গিয়ে দেখা যায় ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতির খবরে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে এক এলাকার মাইকিং শুনে অন্য এলাকায় মাইকিং শুরু করে দেয়।
তবে উপজেলা জুড়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।