ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে ১৬০ ফুট দীর্ঘ কাঠের পুল নির্মাণ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর-গোয়ালভাওর নদীতে কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়।

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূূর্ব ইউনিয়নে একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের জনপদের যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন। আর বর্ষা মৌসুমে তো স্থানীয় লোকজনের বাড়ি থেকে বের হওয়া ছিল মুশকিলের। তাই একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি ছিল গ্রামের বাসিন্দাদের। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের এ দাবি পূূরণ হয়নি।

Model Hospital

অবশেষে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর নজরে আসলে তিনি একটি অস্থায়ী কাঠের পুল করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্প থেকে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের পুল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঠের পুল নির্মাণ করে দেন। এতে হাসি ফুটেছে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মুখে।

জানা যায়, ফতেপুর পশ্চিম ও ফতেপুর পূর্ব এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই কাঠের পুলটি। তাছাড়া আরো দুই তিনটি গ্রামের লোকজনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই কাঠের পুলটি কিন্তু যেখানে নেই কোন ব্রিজ বা কালভার্ট। শুকনো মৌসুমে কোনমতে বড় এই খালটি পার হতে পারলেও বর্ষায় গ্রামটির জনগণ কার্যত বন্ধি অবস্থায় থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাল পারাপারে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এতে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ পোহাতেন সবচেয়ে বেশি। আর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যে কত কষ্টের তা বলারই অপেক্ষা রাখে না।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের পূর্বে ওয়াদা করেছেন নির্বাচনে জয় লাভ করেন কিংবা নাই করেন জনগণের এবং শিক্ষার্থীর চলার সুবিধার জন্য কাঠের পুল নির্মাণ করে দিবেন। সম্প্রতি একটি কাঠের পুল নির্মাণ করে দেন তিনি। পুলটি হওয়ায় গ্রামের মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, আজমল হোসেন চৌধুরী একজন সফল জনপ্রতিনিধি। নানা অপ্রতুলতার মধ্যেও তিনি খুঁজে বেড়ান অসুস্থ এবং অসহায় মানুষের। যার কাছে ধর্ম-বর্ণ বলে পৃথক কেউ নন। সবাই তার কাছে আপন। এলাকায় তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য গোলাম নবী খোকন বলেন, কালক্রমে দুই পাশ ভেঙে খালটি বড় হয়ে গেছে। ফলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ শিক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে যেন উক্ত স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেন।

ফতেপুর আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রজব আলী বলেন, গোয়াল ভাওর গ্ৰামের ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী আমাদের বিদ্যালয়ের অধ্যায়ন করে। তাদের যাতায়াতের অসুবিধা হয় এই জায়গায় পৌর না থাকায়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ পুলটি করে দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব উত্তরে ১৬০ ফুট দীর্ঘ কাঠের পুল নির্মাণ

আপডেট সময় : ০২:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূূর্ব ইউনিয়নে একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের জনপদের যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন। আর বর্ষা মৌসুমে তো স্থানীয় লোকজনের বাড়ি থেকে বের হওয়া ছিল মুশকিলের। তাই একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি ছিল গ্রামের বাসিন্দাদের। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের এ দাবি পূূরণ হয়নি।

Model Hospital

অবশেষে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর নজরে আসলে তিনি একটি অস্থায়ী কাঠের পুল করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্প থেকে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের পুল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঠের পুল নির্মাণ করে দেন। এতে হাসি ফুটেছে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মুখে।

জানা যায়, ফতেপুর পশ্চিম ও ফতেপুর পূর্ব এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই কাঠের পুলটি। তাছাড়া আরো দুই তিনটি গ্রামের লোকজনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই কাঠের পুলটি কিন্তু যেখানে নেই কোন ব্রিজ বা কালভার্ট। শুকনো মৌসুমে কোনমতে বড় এই খালটি পার হতে পারলেও বর্ষায় গ্রামটির জনগণ কার্যত বন্ধি অবস্থায় থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাল পারাপারে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এতে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ পোহাতেন সবচেয়ে বেশি। আর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যে কত কষ্টের তা বলারই অপেক্ষা রাখে না।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের পূর্বে ওয়াদা করেছেন নির্বাচনে জয় লাভ করেন কিংবা নাই করেন জনগণের এবং শিক্ষার্থীর চলার সুবিধার জন্য কাঠের পুল নির্মাণ করে দিবেন। সম্প্রতি একটি কাঠের পুল নির্মাণ করে দেন তিনি। পুলটি হওয়ায় গ্রামের মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, আজমল হোসেন চৌধুরী একজন সফল জনপ্রতিনিধি। নানা অপ্রতুলতার মধ্যেও তিনি খুঁজে বেড়ান অসুস্থ এবং অসহায় মানুষের। যার কাছে ধর্ম-বর্ণ বলে পৃথক কেউ নন। সবাই তার কাছে আপন। এলাকায় তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য গোলাম নবী খোকন বলেন, কালক্রমে দুই পাশ ভেঙে খালটি বড় হয়ে গেছে। ফলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ শিক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে যেন উক্ত স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেন।

ফতেপুর আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রজব আলী বলেন, গোয়াল ভাওর গ্ৰামের ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী আমাদের বিদ্যালয়ের অধ্যায়ন করে। তাদের যাতায়াতের অসুবিধা হয় এই জায়গায় পৌর না থাকায়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ পুলটি করে দেন।