ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধের জেড় ধরে ছোট ভাই কর্তৃক বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Model Hospital

গত ২ ডিসেম্বর এই ঘটনার পর মোশারফ হোসেন মিজির ছেলে মোঃ সাইমুন হোসেন (২৬) বাদী হয়ে ৩ ডিসেম্বর মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বিবাদী করা হয় তবদিল হোসেনের ছেলে মোঃ শাহ আলম প্রকাশ আল আমিন মিজি (৪০), ও তার স্ত্রী রত্না আক্তার বিউটি সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা বাদীর আপন চাচা ও চাচী হন। বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর বাবার পৈর্তৃক মালিকানা জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখে এবং এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবন সহ বিক্রি করে আসছে। বিবাদীদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে বাদী তার বাবা মাকে নিয়ে বাড়ীতে বসবাস করতে পারেন না। বাড়ীতে আসলে তাদেরকে গালমন্দ সহ লাঠি সোটা নিয়া মারধর করে।

গত ২ ডিসেম্বর বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় বাদী সহ তার বাবা তাদের বাড়ীতে আসলে, বিবাদীরা সহ আরো সহযোগী ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে হাতে লাঠি সোটা, লোহার দাড়ালো না নিয়ে তাতের উপর অতর্কিত হামলা করে। বিবাদী মোঃ শাহ আলম প্রকাশ আল আমিন মিজি লোহার দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে, উক্ত কোপ বাদীর বাবা ১নং স্বাক্ষী তাহার দুই হাতদ্বারা প্রতিহত করিলে, ১নং বিবাদী এলোপাথারী লাথি, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে মাটিতে ফেলে দিলে, দ্বিতীয় বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের লাঠিদ্বারা হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথারী পিটিয়ে বাদীর বাবার হাতে, পায়ে, পিঠে নীলাফুলা জখম সহ মাথায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

বাদী মোঃ সাইমুন হোসেন বলেন, আমার বাবাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার দুই হাতদ্বারা গলায় চেপে ধরে। আমার বাবার বুক পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা আমার চাচা নিয়ে গেছে। আমার বাবার ডাক চিৎকার শুনে আমি সহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আমার বাবাকে প্রাণে রক্ষা করি।

উক্ত বিবাদীরা আমাদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতি সাধন সহ আমরা যদি জায়গা জমির মালিকানা দাবী করি, আমাদেরকে স্বপরিবারে খুন করে আমাদের লাশ গুম করিবে বলে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে। আমি স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আমার বাবাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় দানা: চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

মতলব উত্তরে পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম

আপডেট সময় : ১১:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধের জেড় ধরে ছোট ভাই কর্তৃক বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Model Hospital

গত ২ ডিসেম্বর এই ঘটনার পর মোশারফ হোসেন মিজির ছেলে মোঃ সাইমুন হোসেন (২৬) বাদী হয়ে ৩ ডিসেম্বর মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বিবাদী করা হয় তবদিল হোসেনের ছেলে মোঃ শাহ আলম প্রকাশ আল আমিন মিজি (৪০), ও তার স্ত্রী রত্না আক্তার বিউটি সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা বাদীর আপন চাচা ও চাচী হন। বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর বাবার পৈর্তৃক মালিকানা জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখে এবং এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবন সহ বিক্রি করে আসছে। বিবাদীদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে বাদী তার বাবা মাকে নিয়ে বাড়ীতে বসবাস করতে পারেন না। বাড়ীতে আসলে তাদেরকে গালমন্দ সহ লাঠি সোটা নিয়া মারধর করে।

গত ২ ডিসেম্বর বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় বাদী সহ তার বাবা তাদের বাড়ীতে আসলে, বিবাদীরা সহ আরো সহযোগী ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে হাতে লাঠি সোটা, লোহার দাড়ালো না নিয়ে তাতের উপর অতর্কিত হামলা করে। বিবাদী মোঃ শাহ আলম প্রকাশ আল আমিন মিজি লোহার দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে, উক্ত কোপ বাদীর বাবা ১নং স্বাক্ষী তাহার দুই হাতদ্বারা প্রতিহত করিলে, ১নং বিবাদী এলোপাথারী লাথি, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে মাটিতে ফেলে দিলে, দ্বিতীয় বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের লাঠিদ্বারা হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথারী পিটিয়ে বাদীর বাবার হাতে, পায়ে, পিঠে নীলাফুলা জখম সহ মাথায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

বাদী মোঃ সাইমুন হোসেন বলেন, আমার বাবাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার দুই হাতদ্বারা গলায় চেপে ধরে। আমার বাবার বুক পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা আমার চাচা নিয়ে গেছে। আমার বাবার ডাক চিৎকার শুনে আমি সহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আমার বাবাকে প্রাণে রক্ষা করি।

উক্ত বিবাদীরা আমাদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতি সাধন সহ আমরা যদি জায়গা জমির মালিকানা দাবী করি, আমাদেরকে স্বপরিবারে খুন করে আমাদের লাশ গুম করিবে বলে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে। আমি স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আমার বাবাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।