নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর সরকারি কলেজের শত বছরের পুরনো মহামূল্যবান প্রায় ৩০ টি গাছ টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ করেছে।
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে একপ্রকার স্বেচ্ছাচারিতা করে গাছগুলো তড়িঘড়ি করে বিক্রি করেছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা ও নিলামে বিক্রি করতে হলে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সবায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারি কলেজের গাছ কাটতে জেলা প্রশাসক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কিংবা সহকারী প্রকৌশলী ,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিয়ে ৪ সদস্য কমিটির গঠন করতে হবে।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছের পরিমাণ গাছের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও গাছ বিক্রি সিডিউল তৈরি করবেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে নিলাম ও টেন্ডার এর বিক্রি করতে হবে।
বিক্রির টাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা রাখবেন। গাছ কাটার প্রতিবেদন মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে হবে। কিন্তু এ সকল নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই গাছগুলো বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি কলেজে শত বছরের পুরনো কাজগুলো এভাবে কেটে ফেলায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কোন খুঁটির বলে ও কার ইন্দনে এত মহামূল্যবান গাছগুলো খুব দ্রুতগতিতে কেটে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাটি সশস্ত্র অধিদপ্তর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার যোগ্য দাবি জানানোর সচেতন মহল।
চাঁদপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের গেট নির্মাণ করার সময় সেখানে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছিল সেগুলি আমরা মূল্য নির্ধারণ করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করেছি। তবে পরবর্তীতে কলেজ প্রাঙ্গণের ভিতরে যে সকল গাছগুলো কেটেছে সেগুলো নিয়ম বহির্ভূত করেছে। কোন কমিটি ঘটন না করেই সেগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই কেটে ফেলেছে। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজের বাউন্ডারির দেওয়াল নির্মাণের যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে মূলত কাজ করার প্রয়োজনে গাছগুলো কেটেছে। এই গাছগুলো বন বিভাগ থেকে কোন মূল্য নির্ধারণ ও কোন ধরনের কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে গাছ বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা থাকবে।