ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে জমজমাট পিঠার ব্যবসা

মনিরুল ইসলাম মনির : শীত আসলেই মনে পড়ে শীতের হরেক রকম মুখরোচক পিঠার কথা। বর্তমানে শীতের জনপ্রিয় পিঠা ভাপা পিঠা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই শহরের রাস্তার ধারে সব ধরনের পিঠা বানানোর আয়োজন শুরু করে দেন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা।

Model Hospital

ছোট্ট ভ্যান গাড়িতে থাকে নানা ধরনের সরঞ্জাম। ছোট্ট চুলায় মাটির পাতিলে পানি ভরে মুখ লেপে ছোট করে তার ওপর পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে বসে পড়েন পিঠার কারিগর। পাতলা কাপড়ে মুড়ে পাতিলের ওপর বসিয়ে আগুনের তাপে পানির বাষ্প উঠে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। এভাঊেন মতলব উত্তরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালিন পিঠার দোকান।

আবার শীতের পিঠা বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন অনেকে। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারে প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেন সাহিদা বেগম। তিন ছেলে নিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত সাহিদা বেগমের সংসার। থাকেন ভাড়া বাসায়, সংসারের অভাব দূর করতে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা বিক্রি করে দৈনিক ২৫০-৩০০ টাকা আয় করেন সাহিদা।

বছরের অর্ধেক সময় বাসা বাড়িতে কাজ করার পর শীতকালে বিক্রি করেন পিঠা। সাহিদার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছিলেন বিমল দেবনাথ নামের একজন। তিনি বলেন, জীবনের তাগিদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না, তাই পাওয়া যায় না আগের মতো পিঠার স্বাদ। তাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই খেতে হয় পিঠা। তবে গ্রামের মতো স্বাদটা পাওয়া যায় না। শীতকালে গ্রামে পিঠা তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও বড় বড় রাস্তার মোড়ে এমন পিঠা তৈরির দোকান চোখে পড়ার মতো। ভাপা, চিতই, সাতপুতি, রুটিসহ নানান স্বাদের পিঠা এখন হাতের কাছে মিলছে। সন্ধ্যা হলেই দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসছে। ছেংগারচর বাজার, নতুনবাজার, সুজাতপুর বাজার, কালিপুর বাজার, কালির বাজার’সহ বিভিন্ন স্থানে এখন রকমারি পিঠার দোকান পিঠাপ্রেমিদের আকৃষ্ট করছে।

পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান ও স্থানীয় ছেংগারচর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন জানান, শীত এলেই পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। বাজারে রকমারি পিঠার সঙ্গে পাওয়া যায় নানান পদের ভর্তা। গরম গরম এসব পিঠা ও ভর্তার মজাই আলাদা।

পিঠার কারিগর মামুন, শাহ আলম ও ওয়াছ কুরুনী জানান, শীতকালেই তারা পিঠার দোকান সাজিয়ে বসেন। বেচাবিক্রি বেশ ভালোই হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। অনেকে এসব পিঠা বাড়িতে খাওয়ার জন্য পার্সেল করেও নিয়ে যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে জমজমাট পিঠার ব্যবসা

আপডেট সময় : ০৪:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : শীত আসলেই মনে পড়ে শীতের হরেক রকম মুখরোচক পিঠার কথা। বর্তমানে শীতের জনপ্রিয় পিঠা ভাপা পিঠা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই শহরের রাস্তার ধারে সব ধরনের পিঠা বানানোর আয়োজন শুরু করে দেন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা।

Model Hospital

ছোট্ট ভ্যান গাড়িতে থাকে নানা ধরনের সরঞ্জাম। ছোট্ট চুলায় মাটির পাতিলে পানি ভরে মুখ লেপে ছোট করে তার ওপর পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে বসে পড়েন পিঠার কারিগর। পাতলা কাপড়ে মুড়ে পাতিলের ওপর বসিয়ে আগুনের তাপে পানির বাষ্প উঠে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। এভাঊেন মতলব উত্তরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালিন পিঠার দোকান।

আবার শীতের পিঠা বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন অনেকে। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারে প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেন সাহিদা বেগম। তিন ছেলে নিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত সাহিদা বেগমের সংসার। থাকেন ভাড়া বাসায়, সংসারের অভাব দূর করতে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা বিক্রি করে দৈনিক ২৫০-৩০০ টাকা আয় করেন সাহিদা।

বছরের অর্ধেক সময় বাসা বাড়িতে কাজ করার পর শীতকালে বিক্রি করেন পিঠা। সাহিদার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছিলেন বিমল দেবনাথ নামের একজন। তিনি বলেন, জীবনের তাগিদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না, তাই পাওয়া যায় না আগের মতো পিঠার স্বাদ। তাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই খেতে হয় পিঠা। তবে গ্রামের মতো স্বাদটা পাওয়া যায় না। শীতকালে গ্রামে পিঠা তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও বড় বড় রাস্তার মোড়ে এমন পিঠা তৈরির দোকান চোখে পড়ার মতো। ভাপা, চিতই, সাতপুতি, রুটিসহ নানান স্বাদের পিঠা এখন হাতের কাছে মিলছে। সন্ধ্যা হলেই দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসছে। ছেংগারচর বাজার, নতুনবাজার, সুজাতপুর বাজার, কালিপুর বাজার, কালির বাজার’সহ বিভিন্ন স্থানে এখন রকমারি পিঠার দোকান পিঠাপ্রেমিদের আকৃষ্ট করছে।

পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান ও স্থানীয় ছেংগারচর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন জানান, শীত এলেই পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। বাজারে রকমারি পিঠার সঙ্গে পাওয়া যায় নানান পদের ভর্তা। গরম গরম এসব পিঠা ও ভর্তার মজাই আলাদা।

পিঠার কারিগর মামুন, শাহ আলম ও ওয়াছ কুরুনী জানান, শীতকালেই তারা পিঠার দোকান সাজিয়ে বসেন। বেচাবিক্রি বেশ ভালোই হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। অনেকে এসব পিঠা বাড়িতে খাওয়ার জন্য পার্সেল করেও নিয়ে যান।