
গত কয়েক বছরে বদলে গেছে এ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চেহারা। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে নবনির্মিত আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন নতুন মডেলের পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক সব বহুতল ভবন। সেইসাথে চলমান রয়েছে আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও পুরাতন প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের কাজ।
চাঁদপুর শিক্ষা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ টি স্কুল ও কলেজের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়াও আরও তিনটি কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো: মামুনুর রশীদ চৌধুরী জানান জরাজীর্ণ ভবন, টিনের ছাউনি দিয়ে গড়া স্কুলঘরের পাঠদান বা মেঘ দেখলেই বৃষ্টির ভয়ে স্কুল ছুটি এমন দৃশ্য এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। সরকারের বিভিন্ন দিক নির্দেশনায় ধাপে ধাপে শিক্ষার মানন্নোয়নের লক্ষ্যে শতভাগ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করছে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একাধিক বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন করেছেন। নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়া ভবনসমূহের মধ্যে রয়েছে ১০০ টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন ১৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে হাজিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক প্রশাসনিক ও ওয়াকসপ ভবন নির্মাণ, ১৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যায়ে কচুয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভবন নির্মাণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ৬৪ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের আওতাধীন চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাঁচ তলা ভেদ বিশিষ্ট পাঁচতলা একাডেমী কাম ওয়াকসপ ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

নির্মাণ কাজ চলমান ভবনসমূহের মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ১৫ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলায় লুদুয়া হাই স্কুল ও কলেজের ১০ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, ১৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ কর্মসূচির অধীনে পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের ১০ তলা একাডেমী ভবন নির্মাণ এবং ১৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজস্ব কর্মসূচির অধীনে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের ১২ তলা ছাত্রীনিবাস ছাত্রী নিবাস।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম শরীফ বলেন, ভবন গুলো নির্মাণে গুনগতমান ঠিক রেখে সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিয়ে বিল প্রদান করা হয়। প্রতিটি নতুন ভবন নির্মাণে শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা নতুন ভবন নির্মাণে কাজের তদারকি করেন।
তিনি আরো বলেন,সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশে আর কোনো জরাজীর্ণ ভবন থাকবে না এমন লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সকল ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের উপযোগী আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ, সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ করছে ইইডি। যুগোপযোগি ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একইসাথে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবনগুলো নির্মাণ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য: নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম শরীফের নেতৃত্বে সীমিত জনবল দিয়েই প্রতিটি কাজের সর্বোচ্চ তদারকি ও মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।