ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহরাস্তিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন

মরহুম চাঁড়ু পাটোয়ারী ফাউন্ডেশন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫

বিজয়ীদের সাথে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজির কামতার বায়তুল মামুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হলো মরহুম চাঁড়ু পাটোয়ারী ফাউন্ডেশন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ (সিজন-৩)। কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়া ও হাফেজদের মেধার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শাহরাস্তির ১৭টি মাদ্রাসার প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

সকালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। ক্ষুদে হাফেজদের চমৎকার উপস্থাপনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। পুরো আয়োজন ছিল এক আবেগঘন পরিবেশে ভরা, যেখানে শিশু-কিশোর হাফেজদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় পবিত্র কোরআনের বাণী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অত্র মসজিদের খতিব মোহাদ্দিস হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী, মসজিদের সহ-সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু তাহের পাটোয়ারী, সহ-সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পাটোয়ারী ও মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মোঃ আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাহিদুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ ইব্রাহিম হোসাইন ও হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা দুইটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়— পাঁচ পাড়া ও তেলাওয়াত। প্রতিযোগীরা কোরআনের সুমধুর তেলাওয়াতের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

Model Hospital

বিচারকদের মতে, এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মান ছিল অত্যন্ত উচ্চস্তরের। অনেক প্রতিযোগী অপ্রস্তুত থেকেও অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে বিচারকদের চমকে দেন। বিশেষ করে কিছু প্রতিযোগী শুদ্ধ তাজবীদসহ দীর্ঘ আয়াত নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করেন, যা তাঁদের কঠোর অধ্যবসায়ের প্রতিফলন।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ, ট্রফি ও সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে শুধুমাত্র শাহরাস্তিতেই নয়, বরং জেলা ভিত্তিক বড় পরিসরে প্রতিযোগিতার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য কেবল বিজয়ী নির্বাচন নয়, বরং কোরআন শিক্ষাকে মানুষের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করা। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইসলামী মূল্যবোধ ও কোরআনের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। প্রতিযোগিতার স্পন্সর ছিলেন পপুলার খেলাঘর ও সবুজ এগ্রো ফার্ম।

ট্যাগস :

চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ টি বহুতলা ভবন নির্মাণ

শাহরাস্তিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন

মরহুম চাঁড়ু পাটোয়ারী ফাউন্ডেশন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজির কামতার বায়তুল মামুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হলো মরহুম চাঁড়ু পাটোয়ারী ফাউন্ডেশন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৫ (সিজন-৩)। কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়া ও হাফেজদের মেধার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শাহরাস্তির ১৭টি মাদ্রাসার প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

সকালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। ক্ষুদে হাফেজদের চমৎকার উপস্থাপনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। পুরো আয়োজন ছিল এক আবেগঘন পরিবেশে ভরা, যেখানে শিশু-কিশোর হাফেজদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় পবিত্র কোরআনের বাণী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অত্র মসজিদের খতিব মোহাদ্দিস হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী, মসজিদের সহ-সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু তাহের পাটোয়ারী, সহ-সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পাটোয়ারী ও মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মোঃ আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাহিদুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ ইব্রাহিম হোসাইন ও হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা দুইটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়— পাঁচ পাড়া ও তেলাওয়াত। প্রতিযোগীরা কোরআনের সুমধুর তেলাওয়াতের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

Model Hospital

বিচারকদের মতে, এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মান ছিল অত্যন্ত উচ্চস্তরের। অনেক প্রতিযোগী অপ্রস্তুত থেকেও অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে বিচারকদের চমকে দেন। বিশেষ করে কিছু প্রতিযোগী শুদ্ধ তাজবীদসহ দীর্ঘ আয়াত নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করেন, যা তাঁদের কঠোর অধ্যবসায়ের প্রতিফলন।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ, ট্রফি ও সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে শুধুমাত্র শাহরাস্তিতেই নয়, বরং জেলা ভিত্তিক বড় পরিসরে প্রতিযোগিতার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য কেবল বিজয়ী নির্বাচন নয়, বরং কোরআন শিক্ষাকে মানুষের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করা। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইসলামী মূল্যবোধ ও কোরআনের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। প্রতিযোগিতার স্পন্সর ছিলেন পপুলার খেলাঘর ও সবুজ এগ্রো ফার্ম।