হাসিনার শাসনামলে তৎকালীন এমপি মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের লোক ছিলেন, তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ারের কাছের লোকও ছিলেন তিনি। কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এবার বিএনপির ব্যানারে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ খুঁজছে জাহানারা পুতুল নামের শাহরাস্তির এক আওয়ামী লীগের দোসর।
বিএনপির রাজনীতিতে শুধু নিজেকে সক্রিয়ই নয় বরং জাহানারা পুতুল এরই মধ্যে নিজেকে ত্যাগী কর্মী হিসেবে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের পায়তারা করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহরাস্তি উপজেলার মহিলা যুব লীগের সকল প্রোগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন এই পুতুল। তার স্বামী রিপন হোসেন, একজন প্রবাসী। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে রাজনীতিতে অবাধ বিচরণ ছিলো তার।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ারের অনুসারী ছিলেন তিনি। ৫ আগষ্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগের অনেক নেতা পালিয়ে যাওয়ার সুবাদে শাহরাস্তিতে নিজের খোলস পাল্টিয়ে এখন তিনি বনে গেছেন বিএনপি কর্মী। এর মধ্যে ১৯ জানুয়ারী শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বিএনপি’র একাংশের প্রোগ্রামে তাকে সরাসরি দেখা যায়।
জানা যায়, বিভিন্ন মহলে তিনি নিজেকে বিএনপির ত্যাগী কর্মী পরিচয় দিলেও বিগত দিনে পৌর নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে তাকে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেখা যায়। তাছাড়া বিগত সরকারের সময় টেন্ডারবাজি ও থানায় দালালী করার একাধিক অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে চাঁদপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফরিদা ইলিয়াসের সান্নিধ্যে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন তিনি৷ তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও তিনি নিজেকে বিএনপি’র নিবেদিত কর্মী হিসেবে দাবি করে বর্তমানে বিএনপি’র রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহন করতে চাচ্ছেন।