ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ার তেগুরিয়া-জুগিচাপর ব্যস্ততম সড়ক বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

কচুয়ায় শিমুলতলী মোড় থেকে জুগিচাপর ২ কিলো: সড়ক বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে।

কচুয়া উপজেলার বিতারা ও পশ্চিম সহদেবপুর দুই ইউনিয়নের মাঝখানে তেগুরিয়া,চাংপুর,জুগিচাপরের ২ কিলোমিটার ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরন ফাঁদ সড়কের পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। ফলে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

গুরুত্বপূর্ণ এসড়ক দিয়ে বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর, তেগুরিয়া, জুগিচাপর, সৈয়দপুর, মাঝিগাছা ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর, খিলমেহেরসহ ১৫ টি গ্রামের মানুষ এই সড়কে যাতায়াত করেন।

এ সড়কের আসপাশে ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেকগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ এ সড়কটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলতলী মোড় থেকে তেগুরিয়া জুগিচাপর পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ২ কিলোমিটার এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়। তেগুরিয়া মার্কেটের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে ও পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন, জুগিচাপরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।

Model Hospital

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক মো. শাহ্ আলম বলেন, রাস্তার যে বেহাল দশা, তাতে চলাচল করা খুবই কষ্ট। কয়েকদিনে দুইবার আমার ইজিবাইক উল্টে গেছে। যাত্রীসহ আমি আহত হয়েছি।

তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজীব রানা বলেন, ‘দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কোন যানবাহন পাওয়া যায় না ভাঙা রাস্তার জন্য। গত বছরে বৃষ্টির মৌসুমের সময় কয়েকবার গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছি।

অটোরিকশা চালক লেয়াকত আলী বলেন, শিমুলতলী মোড় থেকে জুগিচাপর ২ কিলোমিটার পথ যেতে স্বাভাবিকভাবে ১০মিনিট লাগার কথা। কিন্তু খানাখন্দের কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের ছোটখাট গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়।

সেলিম পাটোয়ারী নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, ‘২ থেকে ৩ বছর ধরে রাস্তাটি খুব খারাপ হয়েছে, এখন চলাচল করা যায় না। মানুষজন অসুস্থ হলে হাসপাতালেও নেয়া যায় না।

কচুয়া উপজেলার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা আব্দুল আলীম লিটন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে সড়কটির সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

কচুয়ার তেগুরিয়া-জুগিচাপর ব্যস্ততম সড়ক বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ০৯:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কচুয়া উপজেলার বিতারা ও পশ্চিম সহদেবপুর দুই ইউনিয়নের মাঝখানে তেগুরিয়া,চাংপুর,জুগিচাপরের ২ কিলোমিটার ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরন ফাঁদ সড়কের পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। ফলে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

গুরুত্বপূর্ণ এসড়ক দিয়ে বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর, তেগুরিয়া, জুগিচাপর, সৈয়দপুর, মাঝিগাছা ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর, খিলমেহেরসহ ১৫ টি গ্রামের মানুষ এই সড়কে যাতায়াত করেন।

এ সড়কের আসপাশে ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেকগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ এ সড়কটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলতলী মোড় থেকে তেগুরিয়া জুগিচাপর পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ২ কিলোমিটার এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়। তেগুরিয়া মার্কেটের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে ও পাটোয়ারী বাড়ি সংলগ্ন, জুগিচাপরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।

Model Hospital

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক মো. শাহ্ আলম বলেন, রাস্তার যে বেহাল দশা, তাতে চলাচল করা খুবই কষ্ট। কয়েকদিনে দুইবার আমার ইজিবাইক উল্টে গেছে। যাত্রীসহ আমি আহত হয়েছি।

তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজীব রানা বলেন, ‘দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কোন যানবাহন পাওয়া যায় না ভাঙা রাস্তার জন্য। গত বছরে বৃষ্টির মৌসুমের সময় কয়েকবার গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছি।

অটোরিকশা চালক লেয়াকত আলী বলেন, শিমুলতলী মোড় থেকে জুগিচাপর ২ কিলোমিটার পথ যেতে স্বাভাবিকভাবে ১০মিনিট লাগার কথা। কিন্তু খানাখন্দের কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের ছোটখাট গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়।

সেলিম পাটোয়ারী নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, ‘২ থেকে ৩ বছর ধরে রাস্তাটি খুব খারাপ হয়েছে, এখন চলাচল করা যায় না। মানুষজন অসুস্থ হলে হাসপাতালেও নেয়া যায় না।

কচুয়া উপজেলার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা আব্দুল আলীম লিটন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে সড়কটির সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।