ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেটার

সাদ্দাম হোসেন মিঠু’র মাধ্যমে উজ্জ্বল হচ্ছে শাহরাস্তির ক্রীড়াঙ্গন

“খেলার মাঠের জন্য সত্যিকারের শক্তি এবং সাহস প্রয়োজন।” এমন স্লোগানকে অন্তরে ধারণ করে বাংলাদেশের মধ্যে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করার দুঃসাহস নিয়ে যে ছেলেটি এগিয়ে এসেছে তার নাম মোঃ সাদ্দাম হোসেন মিঠু। ছোটবেলা থেকে খেলা পাগল ছেলেটি এখন শাহরাস্তির আদর্শ। ক্রিকেটীয় জ্ঞানকে অন্তরে লালনের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও পিছিয়ে নেই তিনি। বরং সমাজের ক্রান্তিকালীন সময়ে নিজের পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অসহায় ও নিরীহ মানুষের পাশে আস্থা নিয়ে কাজ করেন তিনি।
ব্যবসায়ী মোঃ বিল্লাল হোসেনের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম ২০১০ সাল থেকে বয়স ভিত্তিক দলে খেলার মাধ্যমে ক্রিকেট খেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়। জেলার সব ধরনের টুর্নামেন্ট এবং ঢাকার নামকরা কয়েকটি ক্লাব যথাক্রমে কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাব, উদয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তৃতীয় বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন।
ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম হোসেন মিঠু শুধু ক্রীড়া জগতে নয়, বরং সমাজের ক্রান্তিকালীন সময়ে দায়িত্ব নিয়ে সমাজের পাশে দাঁড়ানো নিরেট এক সমাজকর্মীও বটে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ২০২৪ এর বন্যায় তার প্রতিষ্ঠিত শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পক্ষ থেকে প্রায় ৪০০ এর অধিক পরিবারের পাশে (ত্রাণ) উপহার সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ঢাকাসহ পুরো দেশ হতে আগত ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে তিনি নিজে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘরে ঘরে গিয়ে (ত্রাণ) উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
একজন প্রথম বিভাগ ক্রিকেটার হিসেবে ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন শাহরাস্তি উপজেলা থেকে জাতীয় মানের ক্রিকেটার বের হবে, আর সেই লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি থেকে ট্যালেন্ট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫০০ অধিক ক্রিকেটার এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে, এখান থেকে সেরা ৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এই একাডেমিতে এমন কিছু ট্যালেন্ট খেলোয়াড় আছে যারা আগামী দিনে শাহরাস্তিকে সারা বাংলাদেশ না শুধু সারা বিশ্বে তুলে ধরবে, এমনটাই বিশ্বাস তার।
শাহরাস্তি উপজেলার নাম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ (সিজন ১)। যা সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোঃ আশরাফুল ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং আরো সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
১ম সিজন সফল হওয়ার পর সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ (সিজন ২)। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার এবং ঢাকা থেকে আগত বিভিন্ন ক্লাব অফিসিয়াল কর্মকর্তা। তাছাড়া এবারের লাইভ সম্প্রচার থাকতেছে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সারা বাংলাদেশ থেকে এবার ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করবে এই সিজনে।
সাদ্দান হোসেন মিঠু বলেন, শাহরাস্তি ক্ষুদ্র একটি উপজেলা, তবে এখানকার মানুষের হৃদয় অনেক বড়। আমার সকল কাজের অনুপ্রেরণা এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাই। উপজেলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করানোর জন্য আমি গতবছর থেকে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লীগ আয়োজন করেছি। গতবারের মতো এবারের আয়োজনে আরও ভিন্ন কিছু নিয়ে চমক থাকবে। পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত থাকতে চাই। শাহরাস্তিসহ পুরো চাঁদপুরবাসীর কাছে আমি সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি৷
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ১৫০ দিনে কোরআনে হাফেজ হলেন ফাহিম

ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেটার

সাদ্দাম হোসেন মিঠু’র মাধ্যমে উজ্জ্বল হচ্ছে শাহরাস্তির ক্রীড়াঙ্গন

আপডেট সময় : ০৭:০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
“খেলার মাঠের জন্য সত্যিকারের শক্তি এবং সাহস প্রয়োজন।” এমন স্লোগানকে অন্তরে ধারণ করে বাংলাদেশের মধ্যে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করার দুঃসাহস নিয়ে যে ছেলেটি এগিয়ে এসেছে তার নাম মোঃ সাদ্দাম হোসেন মিঠু। ছোটবেলা থেকে খেলা পাগল ছেলেটি এখন শাহরাস্তির আদর্শ। ক্রিকেটীয় জ্ঞানকে অন্তরে লালনের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও পিছিয়ে নেই তিনি। বরং সমাজের ক্রান্তিকালীন সময়ে নিজের পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অসহায় ও নিরীহ মানুষের পাশে আস্থা নিয়ে কাজ করেন তিনি।
ব্যবসায়ী মোঃ বিল্লাল হোসেনের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম ২০১০ সাল থেকে বয়স ভিত্তিক দলে খেলার মাধ্যমে ক্রিকেট খেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়। জেলার সব ধরনের টুর্নামেন্ট এবং ঢাকার নামকরা কয়েকটি ক্লাব যথাক্রমে কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাব, উদয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তৃতীয় বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন।
ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম হোসেন মিঠু শুধু ক্রীড়া জগতে নয়, বরং সমাজের ক্রান্তিকালীন সময়ে দায়িত্ব নিয়ে সমাজের পাশে দাঁড়ানো নিরেট এক সমাজকর্মীও বটে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ২০২৪ এর বন্যায় তার প্রতিষ্ঠিত শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পক্ষ থেকে প্রায় ৪০০ এর অধিক পরিবারের পাশে (ত্রাণ) উপহার সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ঢাকাসহ পুরো দেশ হতে আগত ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে তিনি নিজে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘরে ঘরে গিয়ে (ত্রাণ) উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
একজন প্রথম বিভাগ ক্রিকেটার হিসেবে ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন শাহরাস্তি উপজেলা থেকে জাতীয় মানের ক্রিকেটার বের হবে, আর সেই লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি থেকে ট্যালেন্ট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫০০ অধিক ক্রিকেটার এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে, এখান থেকে সেরা ৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এই একাডেমিতে এমন কিছু ট্যালেন্ট খেলোয়াড় আছে যারা আগামী দিনে শাহরাস্তিকে সারা বাংলাদেশ না শুধু সারা বিশ্বে তুলে ধরবে, এমনটাই বিশ্বাস তার।
শাহরাস্তি উপজেলার নাম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ (সিজন ১)। যা সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোঃ আশরাফুল ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং আরো সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
১ম সিজন সফল হওয়ার পর সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ (সিজন ২)। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার এবং ঢাকা থেকে আগত বিভিন্ন ক্লাব অফিসিয়াল কর্মকর্তা। তাছাড়া এবারের লাইভ সম্প্রচার থাকতেছে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সারা বাংলাদেশ থেকে এবার ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করবে এই সিজনে।
সাদ্দান হোসেন মিঠু বলেন, শাহরাস্তি ক্ষুদ্র একটি উপজেলা, তবে এখানকার মানুষের হৃদয় অনেক বড়। আমার সকল কাজের অনুপ্রেরণা এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাই। উপজেলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করানোর জন্য আমি গতবছর থেকে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লীগ আয়োজন করেছি। গতবারের মতো এবারের আয়োজনে আরও ভিন্ন কিছু নিয়ে চমক থাকবে। পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত থাকতে চাই। শাহরাস্তিসহ পুরো চাঁদপুরবাসীর কাছে আমি সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি৷