ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হাজীগঞ্জের রাধাসারে ঘটনাটি ডাকাতি না পরিকল্পিত...

বোরকা পরা যুবক ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার আরও এক নাতনি গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।

উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়িতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন– ওই এলাকার নিহত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী হামিদুন্নেছা (৭০) ও তাঁর নাতি আরাফাত হোসেন (১২)। অপর আহত নাতনির নাম হালিমা আক্তার মিম। মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার চাচাতো ভাই আরাফাত একই বিদয়ালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহত বৃদ্ধার ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, হামিদুন্নেছার তিন ছেলে প্রবাসী। তিন ছেলের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তারা ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। গতকাল রাতে নাতি–নাতনিদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তার শাশুড়ি।

Model Hospital

এ সময় বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর ঘরে থাকা লোকদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দাদি হামিদুন্নেছা নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আবদুল গণি নামে ওই বাড়ির একজন বলেন, হত্যার পেছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

ইউপি সদস্য মো. অরুণ বলেন, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাতি মারা যায়। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে পিবিআই ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার)।

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

হাজীগঞ্জের রাধাসারে ঘটনাটি ডাকাতি না পরিকল্পিত...

বোরকা পরা যুবক ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করে

আপডেট সময় : ১২:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার আরও এক নাতনি গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।

উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়িতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন– ওই এলাকার নিহত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী হামিদুন্নেছা (৭০) ও তাঁর নাতি আরাফাত হোসেন (১২)। অপর আহত নাতনির নাম হালিমা আক্তার মিম। মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার চাচাতো ভাই আরাফাত একই বিদয়ালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহত বৃদ্ধার ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, হামিদুন্নেছার তিন ছেলে প্রবাসী। তিন ছেলের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তারা ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। গতকাল রাতে নাতি–নাতনিদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তার শাশুড়ি।

Model Hospital

এ সময় বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর ঘরে থাকা লোকদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দাদি হামিদুন্নেছা নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আবদুল গণি নামে ওই বাড়ির একজন বলেন, হত্যার পেছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

ইউপি সদস্য মো. অরুণ বলেন, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাতি মারা যায়। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে পিবিআই ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার)।