সজীব খান : খাদ্যের প্রভাব না পড়তে জমি অনাবাদি না রাখতে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। সরকারের এ ঘোষণাকে গুরুত্ব না দিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পাইকদির চর থেকে আবাদি কৃষি জমিকে অনাবাদি করতে মরিয়া এক শ্রেণির মাটি ব্যাবসায়ীরা। একরে একরে জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে অনাবাদি করে মাটি পাচারে মেতে ওঠেছে তারা। এতে করে ফসলী জমির উৎপাদন আশানূরুপ হচ্ছে না ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকদির চর থেকে অপরিকল্পিত ভাবে প্রতি বছর মাটি বিক্রি করায় বিশাল চরটি দিন দিন জলাশয়ে পরিনত হচ্ছে। এর ফলে একরে একরে জমি অনাবাদি থাকছে প্রতি বছর। চরের পুর্বের দুই থেকে এখন তিন চার ফুঁট গভীর হয়েছে। এক শ্রেনীর মাটি পাচার কারিদের জন্য পাইকরি চরে এখন ওই সম্পত্তি অনাবাদি রয়েছে।
সচেতন মহল জানান, পাইকদির আশপাশে কয়েকটি ইভাটা রয়েছে। ইট তৈরীতে কৃষি জমির উর্বর মাটি ভালো হয়। তাই ইটভাটা মালিক ও দালাল চক্রের সমন্বয়ে কৃষকদের ফাঁদে ফেলে এ উর্বর মাটি অল্প দামে কিনে নিচ্ছে। গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় ওইসব জমিতে আগের মত ফসল ফলছে না। যদি আবাদী কৃষি জমি থেকে ভাটায় মাটি নেয়া বন্ধ না হয় অনাবদি হয়ে যাবে কৃষিখাত এ চরটি।
কথা হয় পাইকদির মাটি ব্যাবসায়ী কয়েক জনের সাথে, তারা বলেন, ‘কৃষকদের নিকট থেকে মাটি ক্রয় করা হয়ে থাকে। প্রথমে এক কৃষককে ফাঁদে ফেলে তার জমি থেকে মাটি কেনা হয়। ওই জমি নিচু হয়ে গেলে তখন পাশের জমির কৃষকও বাধ্য হয়ে তার জমির মাটি বিক্রি করে। এভাবে শুরু করেন মাটি কেনার কাজ।’

কৃষি জমির উর্বর মাটি ‘টপ সয়েল’ বিক্রি বন্ধে কৃষকদের সচেতন করছেন বলে স্থানীয় মহসিন তপদার, কাজল তপদার জানান। পাইকদির চর থেকে মাটি কাটা বন্ধ না করলে এ চরটি কালের আবর্তনে জলাশয়ে পরিনত হবে। হাজার হাজার মন ধান উৎপাদন বন্ধ হবে। কৃষকদের উৎপানিত জমিগুলো শুধু জলাশয় হয়ে মাটি ক্রয় করা চক্রের হাতে জমির মালিক জিম্মি হয়ে পড়বে।
দ্রুত পাইকদির চর থেকে মাটিকাটা বন্ধ করার জন্য স্থানীয়রা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।