ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪৩ বছর পর সম্পত্তি ফিরে পেলেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

মতলব উত্তর ব্যুরো: মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ফিরে পেলেন এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

জানা যায়, স্থানীয় কিছুু কুচক্রী মহল দীর্ঘ ৪৩ বছর আগে ষড়যন্ত্র করে মালিকানা জমি খাস খতিয়ান দেখিয়ে অবৈধভাবে লিজ নিয়ে নেয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন জনের কাছে বন্ধকী রেখে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। আপিল করার পর ১৯৯৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায় পাওয়ার পরও ওই মহলের নানান ষড়যন্ত্রের কারণে জমি দখলে যেতে পারেনি জমির প্রকৃত মালিক মৃত সেকান্দর আহমেদ মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, তসলিম আহমেদ, জালাল আহমেদ ও সালেহ আহমেদের পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি চাইলেই তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলে নিতে পারতো। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দীর্ঘ ৪৩ বছর অপেক্ষা করেছেন। প্রথম থেকেই তারা জমির প্রকৃত মালিক ছিলো।

ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. রেজাউল করিম জানান, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলে আসছিলো। অবশেষে সকল সমস্যার অবসান ঘটিয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী আমরা জমির প্রকৃত মালিককে জমি বুঝিয়ে দেই।

Model Hospital

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য. মো. জিলানী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।

পৈতৃক সম্পত্তি দখলে পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি জানায়, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস, ভরসা ও আস্থা ছিলো। তারই প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ৪৩ বছর পরে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত ও সত্যের পক্ষে থাকায় আমরা আমাদের পৈতৃক ২ একর ৬৩ শতাংশ জমি পুনরায় আমাদের করে পেয়েছি। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

২ একর ৬৩ শতাংশ জমিতে যারা বন্ধকী নিয়ে নানান ফসল রোপণ করেছিলেন তাদেরকে মানবিক দিক বিবেচনা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি সময় দিয়েছেন। যাদের ফসলাদি ক্ষতি হবে তাদেরকেও ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবেন। জমির ফসল তোলার পরেই তারা তাদের জমিতে কাজ শুরু করবেন। যারা ফসল করেছিলেন তারা সময় ও ক্ষতিপূরণ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

ট্যাগস :

চাঁদপুরের মৈশাদীতে এএমএস ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

৪৩ বছর পর সম্পত্তি ফিরে পেলেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

আপডেট সময় : ০২:২৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মতলব উত্তর ব্যুরো: মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ফিরে পেলেন এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

জানা যায়, স্থানীয় কিছুু কুচক্রী মহল দীর্ঘ ৪৩ বছর আগে ষড়যন্ত্র করে মালিকানা জমি খাস খতিয়ান দেখিয়ে অবৈধভাবে লিজ নিয়ে নেয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন জনের কাছে বন্ধকী রেখে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। আপিল করার পর ১৯৯৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায় পাওয়ার পরও ওই মহলের নানান ষড়যন্ত্রের কারণে জমি দখলে যেতে পারেনি জমির প্রকৃত মালিক মৃত সেকান্দর আহমেদ মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, তসলিম আহমেদ, জালাল আহমেদ ও সালেহ আহমেদের পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি চাইলেই তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলে নিতে পারতো। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দীর্ঘ ৪৩ বছর অপেক্ষা করেছেন। প্রথম থেকেই তারা জমির প্রকৃত মালিক ছিলো।

ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. রেজাউল করিম জানান, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলে আসছিলো। অবশেষে সকল সমস্যার অবসান ঘটিয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী আমরা জমির প্রকৃত মালিককে জমি বুঝিয়ে দেই।

Model Hospital

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য. মো. জিলানী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।

পৈতৃক সম্পত্তি দখলে পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি জানায়, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস, ভরসা ও আস্থা ছিলো। তারই প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ৪৩ বছর পরে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত ও সত্যের পক্ষে থাকায় আমরা আমাদের পৈতৃক ২ একর ৬৩ শতাংশ জমি পুনরায় আমাদের করে পেয়েছি। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

২ একর ৬৩ শতাংশ জমিতে যারা বন্ধকী নিয়ে নানান ফসল রোপণ করেছিলেন তাদেরকে মানবিক দিক বিবেচনা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি সময় দিয়েছেন। যাদের ফসলাদি ক্ষতি হবে তাদেরকেও ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবেন। জমির ফসল তোলার পরেই তারা তাদের জমিতে কাজ শুরু করবেন। যারা ফসল করেছিলেন তারা সময় ও ক্ষতিপূরণ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।