এইচ.এম নিজাম : চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধে সন্ত্রাসী হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী রোড পশ্চিম খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিষ্ণুদী এলাকার মৃত মোহাম্মদ মুসলিম খানের ছেলে মোঃ ফাহিম খান (২৬)। আহত ফাহিম খান আগামী রবিবার প্রবাসে যাওয়ার কথা রয়েছে। আহত ফাহিম খানের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে দ্রুত তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মোঃ সুলতান খান ও তার ছেলে মোঃ বশির খান (৪২), ও অন্তর খান (২৬) সঙ্গবদ্ধ একটি দল নিয়ে অতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, মোঃ সুলতান খানের সাথে পূর্ব হইতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। তারা জোর পূর্বক বাড়ীর এজমালী পথে পিলার স্থাপন করিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই বিষয়ে কয়েকবার এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে অবহিত করিলে বিবাদীগন কাহাকে কোন তোয়াক্কা করে নাই।
আহত ফাহিম খানের ভাই মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার সময়ে কে বা কাহারা উক্ত বাড়ীর এজমালী পথের পিলার সরাইয়া ফেলিলে মোঃ সুলতান খানগংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে একা পাইয়া লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুকিয়ে পড়লে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তারা আমার ভাইয়ের মাথা রক্তাক্ত জখম করে। তাকে সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে, মাথায় ৪টি সেলাই লেগছে। রবিবার তার প্রবাসে যাওয়ার ফ্লাইট। এ অবস্থায় আমরা এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার ভাই যেন বিদেশ না যাইতে পারে সেই জন্য বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘটনা ঘটায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ জাহিদ ভূঁইয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মূলত চলাচলের রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করলেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।