ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও চাঁদপুর জেলার সাবেক সভাপতি জননেতা শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, গত পরশু রাত্রে হাইমচর উপজেলার ২নং উত্তর আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নংওয়ার্ডে অবস্থিত কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের ২৫ টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এই ২৫ টি দোকানের সাথে প্রতিটি পরিবারের রুটি রুজির সম্পর্ক রয়েছে । এ অগ্নিকাণ্ডে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই অসহায় পরিবারদের প্রতি সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। যাতে তারা পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা টুকু করে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম দেশ এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করে। আমরা করোনা কালীন দুঃসময়ে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী মানবতার পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও সাধ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। আমি অনুরোধ করবো সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন এবং এলাকার বিত্তশালী সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে হবে।

তারা আমাদের ভাই তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী এবং এলাকাবাসীর কাছে জানা গেল ফায়ার সার্ভিসের যান্ত্রিক ত্রুটি এবং বিদ্যুৎ অফিসের অবহেলায় ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জননেতা শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের সাথে ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহবুব ইমরান মাসুম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশারফ হোসেন, হাইমচর উপজেলা সভাপতি ডাক্তার মোঃ শফিউল্লাহ, সেক্রেটারি ফখরুল আলম শিমুল, মোঃ রুহুল আমিন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।