ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১শ’ বছর পর

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সনদ পেলো ছেংগারচর শ্রীশ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির

প্রায় ১শ’ বছর পর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তালিকাভুক্তির সনদ পেলো চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভাস্থ ছেংগারচর বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির।
৩০ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য ও মন্দির কমিটির সহসভাপতি বিমল দেবনাথ।
তিনি জানান, যুব ঐক্য পরিষদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় মন্দিরটি ট্রাস্টের তালিকাভুক্তির জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ শুরু করি। প্রায় ১শ’ বছর পর নানান চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আমার প্রচেষ্টায় মন্দিরটি অবশেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাভুক্তির সনদ লাভ করেছে।
জেলা যুব ঐক্য পরিষদের এই নেতা আরও জানান, এই মন্দিরটির প্রায় ২শ’ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তবে আদালতে সম্পত্তিগত মামলা চলমান রয়েছে। এটি ১৭২০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবোত্তর কালাচাঁদ বিগ্রহ যা শ্রীশ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির নামে পরিচিত। এখন থেকে মন্দিরটির সনদপত্র নং (১৩১৯৭/চাঁদ/মত.উ/১৩)।
জানা যায়, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের যৌথ সাক্ষরে মন্দিরটির সনদপত্র দেয়া হয়। আর এই তালিকাভুক্তির সনদপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দির কমিটির সভাপতি যুধিষ্টি বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন দেবনাথের হাতে তুলে দেন মতলব হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরে জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. পবিত্র লাল সরকার, অ্যাড. নন্দিতা দেবনাথসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি যুধিষ্টি বাড়ৈ বলেন, এই মন্দিরটি ব্যাপক জাগ্রত। এখানে কালাচান ছাড়াও দূর্গা ও কালী প্রতীমার বিগ্রহ রয়েছে। অবশেষে দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে প্রায় ১শ’ বছর পরে আমাদের মন্দিরটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তালিকাভুক্তি লাভ করায় আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন দেবনাথ বলেন, আমাদের বর্তমান মন্দির কমিটির সকল সদস্যদের এবং ভক্তবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় মন্দিরের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনগুলোতে মন্দিরের উন্নয়ন ও ধর্মীয় কাজে যুব ঐক্য পরিষদসহ সকলের সহযোগিতা চাই।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জের গ্রামীন সড়কে ট্রাক্টরের মিছিল, কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব

১শ’ বছর পর

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সনদ পেলো ছেংগারচর শ্রীশ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির

আপডেট সময় : ০৮:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রায় ১শ’ বছর পর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তালিকাভুক্তির সনদ পেলো চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভাস্থ ছেংগারচর বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির।
৩০ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য ও মন্দির কমিটির সহসভাপতি বিমল দেবনাথ।
তিনি জানান, যুব ঐক্য পরিষদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় মন্দিরটি ট্রাস্টের তালিকাভুক্তির জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ শুরু করি। প্রায় ১শ’ বছর পর নানান চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আমার প্রচেষ্টায় মন্দিরটি অবশেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাভুক্তির সনদ লাভ করেছে।
জেলা যুব ঐক্য পরিষদের এই নেতা আরও জানান, এই মন্দিরটির প্রায় ২শ’ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তবে আদালতে সম্পত্তিগত মামলা চলমান রয়েছে। এটি ১৭২০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবোত্তর কালাচাঁদ বিগ্রহ যা শ্রীশ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির নামে পরিচিত। এখন থেকে মন্দিরটির সনদপত্র নং (১৩১৯৭/চাঁদ/মত.উ/১৩)।
জানা যায়, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের যৌথ সাক্ষরে মন্দিরটির সনদপত্র দেয়া হয়। আর এই তালিকাভুক্তির সনদপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দির কমিটির সভাপতি যুধিষ্টি বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন দেবনাথের হাতে তুলে দেন মতলব হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরে জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. পবিত্র লাল সরকার, অ্যাড. নন্দিতা দেবনাথসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি যুধিষ্টি বাড়ৈ বলেন, এই মন্দিরটি ব্যাপক জাগ্রত। এখানে কালাচান ছাড়াও দূর্গা ও কালী প্রতীমার বিগ্রহ রয়েছে। অবশেষে দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে প্রায় ১শ’ বছর পরে আমাদের মন্দিরটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তালিকাভুক্তি লাভ করায় আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন দেবনাথ বলেন, আমাদের বর্তমান মন্দির কমিটির সকল সদস্যদের এবং ভক্তবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় মন্দিরের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনগুলোতে মন্দিরের উন্নয়ন ও ধর্মীয় কাজে যুব ঐক্য পরিষদসহ সকলের সহযোগিতা চাই।