চাঁদপুরে কোনো প্রকার র্যালী ও আলোচনা সভা না করেই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ফটোসেশনের মাধ্যমেই নামেমাত্র দায়সার মুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচী পালন করেছে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এমন কি চাঁদপুর প্রেসক্লাব কিংবা কোনো প্রকার গনমাধ্যমকে অবগত এবং দাওয়াত না দিয়েই এমন নামমাত্র কর্মসূচী পালন করা হয়। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ব্যানারে লেখা রয়েছে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা। সেখানে তেমন কোনো কর্মসূচীই পালন করা হয়নি।
জানাযায়, ৬ এপ্রিল শনিবার সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচী পালন করবে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু সেখানে তেমন কোনো গুরত্বপূর্ণ কর্সসূচীই পালন করতে দেখা যায়নি। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এমন গুরত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কোনো গনমাধ্যমকেও সংবাদ সংগ্রহের জন্য খবর দেয়া হয়নি।
ক’জন সংবাদ কর্মী নিজে থেকেই এমন গুরত্বপূর্ণ দিবসের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে র্যালীর ভিডিও ফুটেজ নেয়ার জন্য সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেনকে র্যালী নিয়ে হাটতে বললে তিনি এক সংবাদকর্মীর সাথে “ভিডিও করে কি করবেন” বলে অসাদাচরণ করেন।
যেখানে একটি দিবসের মূল ব্যানারে লেখা ছিলো বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা। সেখানে কোনো প্রকার পায়ে না হেটে, কোনো র্যালী বের না করে এবং কোনো প্রকার আলোচনা সভা না করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েই কয়েকটি ছবি তুলে বুঝানো হয়েছে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচী পালন করেছেন। এভাবেই চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় নাম কায়ান্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন সেই বানানো ব্যানার নিয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়, এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের যেকোনো সংবাদ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্যের জন্য সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেনের কাছে গেলে, তিনি সব সময়ই সংবাদকর্মীদের সাথে এই ধরনের রুক্ষ আচরণ করেন। তাই চাঁদপুরের এই বির্তকিত সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেনকে অতি দ্রুত চাঁদপুর থেকে অনত্র বদলী করার দাবি সচেতন মহলের।
উল্লেখ্য : স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসাথে। এই স্লোগানকে ধারন করে ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের আয়োজনের ব্যানারে চাঁদপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আর সেই আলোচনা সভাটিই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নামে চালিয়ে নেন তিনি।