নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বখাটে আলমগীর খলিফার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী স্বেচ্ছায় তালাক দেওয়ার ঘটনায় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছে। চাঁদপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলবার রাতে নেশাখোর স্বামী আলমগীর তার স্ত্রীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
চাঁদপুর সেতু সংলগ্ন ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ইউসুফ খলিফার বখাটে ছেলে আলমগীর খলিফার সাথে ২০১৯ সালে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে মরিয়ম বেগম নামে এক অবলা নারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই এই বখাটে নেশাগ্রস্ত আলমগীর খলিফা তার স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যৌতুকের টাকা নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা দেওয়ার পর সে নেশা ও জুয়া খেলে সব টাকা ধ্বংস করে দেয়। তারপরেও নির্যাতনের মাত্রা আরো চালিয়ে যাওয়ায় অবশেষে নির্যাতিত নারী মরিয়ম ও তার সন্তানকে বাঁচাতে বখাটে আলমগীর খলিফাকে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার খবর শুনে আলমগীর খলিফা তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের বাবার বাড়িতে গিয়ে বেদম মারধর করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরিয়ম বেগম চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড হয়ে মঠখোলা তার বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে বখাটে আলমগীর খলিফা তাকে একা পেয়ে প্রকাশ্যে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় পথচারীদের হস্তক্ষেপে মরিয়ম বেগমকে রক্ষা করে আহত অবস্থায় তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অসহায় মরিয়ম বেগম জানান, বখাটে নেশাগ্রস্ত আলমগীর খলিফা ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিক্রির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।
এছাড়া বিভিন্ন নারীদের বাড়িতে এনে অনৈতিক কর্মকান্ড সহ সাধারন মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি সহ বিভিন্ন অপকর্ম কাজে লিপ্ত রয়েছে। যৌতুকের জন্য ব্যাপক নির্যাতন চালানোর পর অবশেষে স্বেচ্ছায় তাকে ডিভোর্স দিলেও পরবর্তীতে সে বাবা বাড়িতে গিয়ে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে। এছাড়া সেই ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই প্রতারক আলমগীর খলিফার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।