ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ভয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতির শঙ্কায় আধা পাকা ধান কাটছেন মতলব উত্তরের কৃষকরা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এ বছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটছেন তারা। ইতোমধ্যে নিন্মাঞ্চলের রোপা, ইরি ধান কেটে ঘরেও নিয়েছেন অনেক কৃষক।

Model Hospital

মতলব উত্তর জেলা কৃষি অফিস ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে উপজেলার ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি।

আদুরভিটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় ধান কাটার মহোৎসব চলছে। কারোই দম ফেলার ফুসরত নেই। এক সঙ্গে দলবেঁধে ধান কাটছেন কৃষকরা।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধানও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানিক মাঠে থাকলে ধানটা পুরো পুষ্ট হতো, কিন্তু শুনতেছি কয়েক দিনের মধ্যে নাকি ঝড়-তুফান হবে। তাই আগেভাবেই ধান ঘরে উঠাইতেছি। এতো কষ্টের ফসল যাতে বেহাত না হয়, সেদিকে নজর রেখেই ধান কাটছি।

আরেক চাষি ছানা উল্লাহ বলেন, গতবারও ধান পাকার শেষ দিকে ঝড় এসে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার আর সেই ভুল করবো না, ক্ষতির আগেই ধান কাইটা ঘরে তুলবো। তবে আগের মতো আর ধানে লাভ নাই। সার বীজ আর সেচের কারণে লাভের চেয়ে লসই বেশি হয়। তারপরে যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়, তাহেল আমাদের বাঁচার পথ থাকবে না।

উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার ইতোমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে। মাঠে এখনো ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। ফলে কৃষকদের আগেভাগে ধান কাটার পর্রামশ দিচ্ছি। আশা রাখি আগামী ১৫ থেকে ১৬ মের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে, তবে ভয়ের কারণে আগেই ধানতে কৃষকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী পণ্য হচ্ছে ধান। তাই কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বরাবরই আমাদের থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ আদায়

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ভয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতির শঙ্কায় আধা পাকা ধান কাটছেন মতলব উত্তরের কৃষকরা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এ বছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটছেন তারা। ইতোমধ্যে নিন্মাঞ্চলের রোপা, ইরি ধান কেটে ঘরেও নিয়েছেন অনেক কৃষক।

Model Hospital

মতলব উত্তর জেলা কৃষি অফিস ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে উপজেলার ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি।

আদুরভিটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় ধান কাটার মহোৎসব চলছে। কারোই দম ফেলার ফুসরত নেই। এক সঙ্গে দলবেঁধে ধান কাটছেন কৃষকরা।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধানও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানিক মাঠে থাকলে ধানটা পুরো পুষ্ট হতো, কিন্তু শুনতেছি কয়েক দিনের মধ্যে নাকি ঝড়-তুফান হবে। তাই আগেভাবেই ধান ঘরে উঠাইতেছি। এতো কষ্টের ফসল যাতে বেহাত না হয়, সেদিকে নজর রেখেই ধান কাটছি।

আরেক চাষি ছানা উল্লাহ বলেন, গতবারও ধান পাকার শেষ দিকে ঝড় এসে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার আর সেই ভুল করবো না, ক্ষতির আগেই ধান কাইটা ঘরে তুলবো। তবে আগের মতো আর ধানে লাভ নাই। সার বীজ আর সেচের কারণে লাভের চেয়ে লসই বেশি হয়। তারপরে যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়, তাহেল আমাদের বাঁচার পথ থাকবে না।

উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার ইতোমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে। মাঠে এখনো ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। ফলে কৃষকদের আগেভাগে ধান কাটার পর্রামশ দিচ্ছি। আশা রাখি আগামী ১৫ থেকে ১৬ মের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে, তবে ভয়ের কারণে আগেই ধানতে কৃষকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী পণ্য হচ্ছে ধান। তাই কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বরাবরই আমাদের থাকে।