ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফরিদগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধানের চারা রোপন উদ্বোধনকালে

শেখ হাসিনার সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকি করণ করার কাজ শুরু করেছেন : তছলিম আহমেদ

  • এস এম ইকবাল
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 116

ফরিদগঞ্জে হাইব্রিড সমলয় চাষাবাদের আওতায় ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ বা যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামে কৃষি মাঠে এ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর স্থানীয় তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা হাফেজিয়া মাদ্রাসার মাঠে কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধান (হাইব্রিড) সমলয়ে চাষাবাদের জন্য ট্রেতে উৎপাদিত বীজতলা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দ্বারা রোপণের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলি মন্ডল’র সভাপতিত্বে এ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএস তছলিম আহমেদ। কৃষকদের উদ্দেশ্যে স্বগত বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার।

প্রধান অতিথি কার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। দেশে একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, তেমনি আবার কমে আবাদী জমির পরিমাণ। আমি কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে জানি , মাঠে ফসল ফলাতে কৃষকদের কি পরিমানে কষ্ট করতে হয়। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকি করণ করার কাজ শুরু করেছেন। ফলে কৃষকদের একদিকে খরচ কমচে, আবার উৎপাদনও বাড়ছে। আপনারা জানেন, বর্তমানে আমাদের ধান ক্ষেতে কাজ করার শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর। তাই সরকার এই পদ্ধতি গ্রহণ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এসব যন্ত্রপাতি সংগহের জন্য সরকার ৫০ ভাঘ ভতুর্কি প্রদান করছে। আশাকরছি কৃষকরা এসব যন্ত্র ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহিম হাসানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহসীন হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তমর্তা মিল্টন দস্তিদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগনেতা জসিম উদ্দিন মিন্টু পাটওয়ারী।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কৃষকদের মধ্যে সমবায়ী মনোভাব গড়ে তোলা, স্বল্প সময়ে ধান রোপণ ও কর্তন করা, ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা, কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং শ্রমিক সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে ৮৫ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কার্যক্রমের আওতায় সমলয় ব্লকের কৃষকবৃন্দ নিজেরা হাতে কলমে প্লাস্টিক ট্রেতে সিনজেনটা এস-১২০৫ জাতের চারা উৎপাদন করেছেন।

উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে ৫০ একর জমিতে রোপণ করা হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় ৫০ একর জমিতে একই ধানের জাত ব্যবহারের ফলে একসাথে চারা উৎপাদন, রোপণ ও একই সময়ে ধান পরিপক্ব হবে বিধায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করে সহজে কর্তন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করে ৫% জমিতে চারা রোপণ এবং ৫০% জমির ধান ও গম কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষি কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয়। সেই সাথে ফসল আবাদের দক্ষতা, নিবিড়তা, উৎপাদনশীলতা ও শস্যের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়, কৃষিকাজ লাভজনক ও কর্মসংস্থানমুখী হয়। এ ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে যন্ত্রের ব্যবহার উৎপাদন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

ট্যাগস :

হাজীগঞ্জে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রা’ণ গে’ল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

ফরিদগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধানের চারা রোপন উদ্বোধনকালে

শেখ হাসিনার সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকি করণ করার কাজ শুরু করেছেন : তছলিম আহমেদ

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফরিদগঞ্জে হাইব্রিড সমলয় চাষাবাদের আওতায় ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ বা যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামে কৃষি মাঠে এ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর স্থানীয় তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা হাফেজিয়া মাদ্রাসার মাঠে কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধান (হাইব্রিড) সমলয়ে চাষাবাদের জন্য ট্রেতে উৎপাদিত বীজতলা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দ্বারা রোপণের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলি মন্ডল’র সভাপতিত্বে এ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএস তছলিম আহমেদ। কৃষকদের উদ্দেশ্যে স্বগত বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার।

প্রধান অতিথি কার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। দেশে একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, তেমনি আবার কমে আবাদী জমির পরিমাণ। আমি কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে জানি , মাঠে ফসল ফলাতে কৃষকদের কি পরিমানে কষ্ট করতে হয়। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকি করণ করার কাজ শুরু করেছেন। ফলে কৃষকদের একদিকে খরচ কমচে, আবার উৎপাদনও বাড়ছে। আপনারা জানেন, বর্তমানে আমাদের ধান ক্ষেতে কাজ করার শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর। তাই সরকার এই পদ্ধতি গ্রহণ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এসব যন্ত্রপাতি সংগহের জন্য সরকার ৫০ ভাঘ ভতুর্কি প্রদান করছে। আশাকরছি কৃষকরা এসব যন্ত্র ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহিম হাসানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহসীন হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তমর্তা মিল্টন দস্তিদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগনেতা জসিম উদ্দিন মিন্টু পাটওয়ারী।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কৃষকদের মধ্যে সমবায়ী মনোভাব গড়ে তোলা, স্বল্প সময়ে ধান রোপণ ও কর্তন করা, ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা, কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং শ্রমিক সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে ৮৫ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কার্যক্রমের আওতায় সমলয় ব্লকের কৃষকবৃন্দ নিজেরা হাতে কলমে প্লাস্টিক ট্রেতে সিনজেনটা এস-১২০৫ জাতের চারা উৎপাদন করেছেন।

উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে ৫০ একর জমিতে রোপণ করা হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় ৫০ একর জমিতে একই ধানের জাত ব্যবহারের ফলে একসাথে চারা উৎপাদন, রোপণ ও একই সময়ে ধান পরিপক্ব হবে বিধায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করে সহজে কর্তন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করে ৫% জমিতে চারা রোপণ এবং ৫০% জমির ধান ও গম কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষি কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয়। সেই সাথে ফসল আবাদের দক্ষতা, নিবিড়তা, উৎপাদনশীলতা ও শস্যের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়, কৃষিকাজ লাভজনক ও কর্মসংস্থানমুখী হয়। এ ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে যন্ত্রের ব্যবহার উৎপাদন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।