ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব দক্ষিণে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা নবম শ্রেণির ছাত্রীর

মোজাম্মেল প্রধান হাসিব : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) ।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা খবর পেয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নন্দিখোলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কচুয়া উপজেলা সদরের এক যুবকের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। বরপক্ষ কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে বাড়ির কাছাকাছি চলে আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনকে জানান। পরে ইউএনওর নির্দেশে লোকজন নিয়ে ওই চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন। ভেঙে দেন বিয়ের প্যান্ডেলও। খবরটি বরপক্ষের কাছে পৌঁছালে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে না এসে বাড়ি ফিরে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, বিয়েটি বন্ধ করার পর মেয়েটিকে সাবালিকা হওয়ার আগে আর বিয়ে দেবেন না এবং বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করেন তার বাবার কাছ থেকে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে একটি মেয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার ভবিষ্যৎ। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের সহায়তায় তাঁর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে আজ এই বিয়েটি বন্ধ করেন।

Model Hospital
ট্যাগস :

টেন্ডারবাজি ও থানার দালালি প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে

মতলব দক্ষিণে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা নবম শ্রেণির ছাত্রীর

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মোজাম্মেল প্রধান হাসিব : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) ।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা খবর পেয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নন্দিখোলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কচুয়া উপজেলা সদরের এক যুবকের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। বরপক্ষ কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে বাড়ির কাছাকাছি চলে আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনকে জানান। পরে ইউএনওর নির্দেশে লোকজন নিয়ে ওই চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন। ভেঙে দেন বিয়ের প্যান্ডেলও। খবরটি বরপক্ষের কাছে পৌঁছালে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে না এসে বাড়ি ফিরে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, বিয়েটি বন্ধ করার পর মেয়েটিকে সাবালিকা হওয়ার আগে আর বিয়ে দেবেন না এবং বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করেন তার বাবার কাছ থেকে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে একটি মেয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার ভবিষ্যৎ। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের সহায়তায় তাঁর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে আজ এই বিয়েটি বন্ধ করেন।

Model Hospital