ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় অব্যাহত খরায় সেচ দিয়ে লাগানো হচ্ছে রোপা আমন

মোঃ রাছেল : চাঁদপুরের কচুয়ায় অব্যাহত খরায় মাঠে মাঠে পানি না থাকায় সেচ দিয়ে লাগানো হচ্ছে রোপা আমন। জমিতে সেচ দিয়ে রোপা আমন লাগানোর কযেক দিন যেতে না যেতেই জমিতে পানির শুকিয়ে যায়। জমি ফেটে হয়ে যায় চৌচির। পুনরায় সেচ দিয়ে খেত রক্ষা করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন- সবার উন্নতি হয়, উন্নতি হয় না কৃষকের, সবদিক দিয়ে সংকটে আছি আমরা। মাঠে নেই পানি রয়েছে শ্রমিক সংকট। সার ও ঔষধের দাম বাড়তি।

Model Hospital

শুধুমাত্র জ্বালানি তৈলের দাম বাড়ায় পদে পদে খরচ বাড়ছে আমাদের। অথচ উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে গেলে বাজারে দাম নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষার ভরা মৌসুম শেষে বৃষ্টির অভাবে উপজেলার নূরপুর, তালতলি, আশ্রাফপুর,নোয়াগাঁ, ডুমুরিয়া, উজানী, বাসাবাড়িয়া, আকানিয়া, গোবিন্দপুর গ্রামের ফসলী মাঠে সদ্য রোপনকৃত আমন খেতগুলো শুকিয়ে রয়েছে। এঅবস্থায় কৃষক আবুল কালাম, আবেগ মিয়া,সিরাজুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, জালাল উদ্দিন ও মহসিন মিয়া তাদের জমিতে শ্যলো মিশনে সেচ দিয়ে আমন খেতে সার প্রয়োগ করছে।

এসময় তারা নানা সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, বীজ তলায় লাগানো চারা গাছের নিদিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এঅবস্থায় সেচ দিয়ে রোপা লাগানো ছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। সেচ দিয়ে রোপা লাগানোর কয়েক দিনের মাথায় পানি শুকিয়ে যায়। এতে পুন:সেচ দিয়ে রোপা রক্ষা করতে হচ্ছে। রোপা লাগানো জমিতে সার প্রয়োগ করতে হলেও সেচ দিতে হয়। প্রতিবারে সেচ দিতে গন্ডা প্রতি (৬শতক) প্রায় ২শত টাকা বাড়তি খরচ করতে হয়। এছাড়া ও সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমন চাষে উল্লেখযোগ্য খরচ বেড়েছে। এতে মৌসুম শেষে খরচ উঠা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে, এবছর কচুয়া উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হচ্ছে। এদিকে অব্যাহত খরা ও প্রচন্ড খরমে মাঠের পর মাঠ শুকিয়ে যাওয়ায় কচুয়ায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের উৎপাদন বিনষ্ট হয়। কৃষকরা পায়নি কাংখিত বোনা আমন ফসল। এখন আবার বাড়তি অর্থ ব্যায় করে রোপা আমন লাগাতে কৃষকরা দারুন হিমশিম খাচ্ছে। সব মিলিয়ে কচুয়ার কৃষকরা দিশেহারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সোফায়েল হোসেন জানান, রাসায়নিক সার ও জ¦ালালি তৈল সহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে কৃষকদের খরচ বেড়ে গেছে। ধানের দাম বৃদ্ধি পেলে কৃষকের জন্য তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

কচুয়ায় অব্যাহত খরায় সেচ দিয়ে লাগানো হচ্ছে রোপা আমন

আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

মোঃ রাছেল : চাঁদপুরের কচুয়ায় অব্যাহত খরায় মাঠে মাঠে পানি না থাকায় সেচ দিয়ে লাগানো হচ্ছে রোপা আমন। জমিতে সেচ দিয়ে রোপা আমন লাগানোর কযেক দিন যেতে না যেতেই জমিতে পানির শুকিয়ে যায়। জমি ফেটে হয়ে যায় চৌচির। পুনরায় সেচ দিয়ে খেত রক্ষা করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন- সবার উন্নতি হয়, উন্নতি হয় না কৃষকের, সবদিক দিয়ে সংকটে আছি আমরা। মাঠে নেই পানি রয়েছে শ্রমিক সংকট। সার ও ঔষধের দাম বাড়তি।

Model Hospital

শুধুমাত্র জ্বালানি তৈলের দাম বাড়ায় পদে পদে খরচ বাড়ছে আমাদের। অথচ উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে গেলে বাজারে দাম নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষার ভরা মৌসুম শেষে বৃষ্টির অভাবে উপজেলার নূরপুর, তালতলি, আশ্রাফপুর,নোয়াগাঁ, ডুমুরিয়া, উজানী, বাসাবাড়িয়া, আকানিয়া, গোবিন্দপুর গ্রামের ফসলী মাঠে সদ্য রোপনকৃত আমন খেতগুলো শুকিয়ে রয়েছে। এঅবস্থায় কৃষক আবুল কালাম, আবেগ মিয়া,সিরাজুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, জালাল উদ্দিন ও মহসিন মিয়া তাদের জমিতে শ্যলো মিশনে সেচ দিয়ে আমন খেতে সার প্রয়োগ করছে।

এসময় তারা নানা সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, বীজ তলায় লাগানো চারা গাছের নিদিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এঅবস্থায় সেচ দিয়ে রোপা লাগানো ছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। সেচ দিয়ে রোপা লাগানোর কয়েক দিনের মাথায় পানি শুকিয়ে যায়। এতে পুন:সেচ দিয়ে রোপা রক্ষা করতে হচ্ছে। রোপা লাগানো জমিতে সার প্রয়োগ করতে হলেও সেচ দিতে হয়। প্রতিবারে সেচ দিতে গন্ডা প্রতি (৬শতক) প্রায় ২শত টাকা বাড়তি খরচ করতে হয়। এছাড়া ও সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমন চাষে উল্লেখযোগ্য খরচ বেড়েছে। এতে মৌসুম শেষে খরচ উঠা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে, এবছর কচুয়া উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হচ্ছে। এদিকে অব্যাহত খরা ও প্রচন্ড খরমে মাঠের পর মাঠ শুকিয়ে যাওয়ায় কচুয়ায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের উৎপাদন বিনষ্ট হয়। কৃষকরা পায়নি কাংখিত বোনা আমন ফসল। এখন আবার বাড়তি অর্থ ব্যায় করে রোপা আমন লাগাতে কৃষকরা দারুন হিমশিম খাচ্ছে। সব মিলিয়ে কচুয়ার কৃষকরা দিশেহারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সোফায়েল হোসেন জানান, রাসায়নিক সার ও জ¦ালালি তৈল সহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে কৃষকদের খরচ বেড়ে গেছে। ধানের দাম বৃদ্ধি পেলে কৃষকের জন্য তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।