ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী রাত ১২টায় বাজারে দোকানদারিতে ব্যস্ত

মতলব উত্তর ব্যুরো : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রহরী ওই স্কুলে রাতে ডিউটি না করে তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকানদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাকে রাতে স্কুলে গিয়ে না পেয়ে খোঁজ করা হয় তিনি কোথায় আছেন। পরে তাকে বাজারে দোকানদারি করতে দেখা গেছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী মো. কাউছার এভাবেই চলছেন কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে।

Model Hospital

সরেজমিনে গত ৩১ জুলাই ও ১ আগষ্ট দুইদিন রাত ১০ টার দিকে স্কুলে গেলে প্রহরী কাউছারকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ খবর নিয়ে যায় তিনি সুজাতপুর বাজারে তার দোকানে আছেন। সেখানে দিয়ে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কথা হয় কাউছারের সাথে। এসময় কাউছার হতমম্ভ হয়ে বলেন, ‘আমি তো হার্টের রোগী তাই যাই না। বেশি রাত জাগতে পারি না।’ এভাবেই প্রতিদিন ডিউটি না করে দোকানদারি করেন? এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি।

এলাকার অনেক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছেন, তিনি একটি কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত আছেন। ওই প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে দিনের বেলায় নাম মাত্র ডিউটি করেন আর হাজিরা দেন। কিন্তু রাতের আর স্কুলে ডিউটি করেন না। সরকার বিদ্যুতের সমস্যা রোধ করার জন্য রাত আটটার পরে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তিনি দেদারছে ১২ টা, ১ টা পর্যন্ত দোকানদারি করেন বলেও অভিযোগ আছে।

এদিকে নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাউছার হার্টের রোগী। তারপরও তাকে আমরা ডিউটির জন্য চাপে রাখি। প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বলেন, কাউছারকে নিয়মিত ডিউটি করার জন্য বলি কিন্তু সে ডিউটি করে না। তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করবো, কিন্তু কমিটির লোকেরা স্বাক্ষর দেয় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন ভুঞা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। বর্তমানে হজ্বের ছুটিতে আছি। অফিসে এসে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

শাহরাস্তিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ২জন নিহত

বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী রাত ১২টায় বাজারে দোকানদারিতে ব্যস্ত

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রহরী ওই স্কুলে রাতে ডিউটি না করে তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকানদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাকে রাতে স্কুলে গিয়ে না পেয়ে খোঁজ করা হয় তিনি কোথায় আছেন। পরে তাকে বাজারে দোকানদারি করতে দেখা গেছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী মো. কাউছার এভাবেই চলছেন কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে।

Model Hospital

সরেজমিনে গত ৩১ জুলাই ও ১ আগষ্ট দুইদিন রাত ১০ টার দিকে স্কুলে গেলে প্রহরী কাউছারকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ খবর নিয়ে যায় তিনি সুজাতপুর বাজারে তার দোকানে আছেন। সেখানে দিয়ে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কথা হয় কাউছারের সাথে। এসময় কাউছার হতমম্ভ হয়ে বলেন, ‘আমি তো হার্টের রোগী তাই যাই না। বেশি রাত জাগতে পারি না।’ এভাবেই প্রতিদিন ডিউটি না করে দোকানদারি করেন? এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি।

এলাকার অনেক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছেন, তিনি একটি কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত আছেন। ওই প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে দিনের বেলায় নাম মাত্র ডিউটি করেন আর হাজিরা দেন। কিন্তু রাতের আর স্কুলে ডিউটি করেন না। সরকার বিদ্যুতের সমস্যা রোধ করার জন্য রাত আটটার পরে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তিনি দেদারছে ১২ টা, ১ টা পর্যন্ত দোকানদারি করেন বলেও অভিযোগ আছে।

এদিকে নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাউছার হার্টের রোগী। তারপরও তাকে আমরা ডিউটির জন্য চাপে রাখি। প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বলেন, কাউছারকে নিয়মিত ডিউটি করার জন্য বলি কিন্তু সে ডিউটি করে না। তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করবো, কিন্তু কমিটির লোকেরা স্বাক্ষর দেয় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন ভুঞা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। বর্তমানে হজ্বের ছুটিতে আছি। অফিসে এসে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।