স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর বাবুরহাটে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহামড়কের পাশের পবিত্র ঈদুল আযহার গোহাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে মহাসড়কের পাশেই বাবুরহাটের কিছু ব্যাক্তি এ গোহাট পরিচালনা করে আসছে।

এর ফলে বাবুরহাটের বসানো গোহাটের কারনে পথচারীদের যাতায়েতের মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। হাটেরর সময় বাবুরহাট এলাকা যেন দুর্ভোগের এক মহা সড়কে পরিনত হয়ে থাকে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার মতলব রোড থেকে বিসিক শিল্পী নগরি পর্যন্ত জমজমাট গরুর বাজার বসবে। হাটের ইজারাদার ইতিমধ্যে বাজারের জন্য সড়কের পাশে বাঁশদিয়ে গরুর বাঁধার স্থান করেছে। বাঁশের কাজ ও প্রায় শেষের পথে রয়েছে।
মহা সড়কের পাশে কোন ভাবে গরুর বাজার বসানো যাবেনা, বসালেই আইনি ব্যবস্থা বলে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ঈদুল আযহা ও উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় ঘোষনা করেছে। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১০ জুলাই দেশে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে গরুর বাজারের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদাররা ইতিমধ্যে অনেক স্থানে গুরুর বাসার বসানো শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতি বছর বাবুরহাটে সরকারের নিষেধাষ্ণাকে অনাম্য করে কিভাবে মহা সড়কের পাশে গুরুর বাজার বসছে। সত্যি বাবুরহাট বাজারটি সড়কের পাশে ইজারা দেওয়া হচ্ছে নাকি অন্য স্থানে এমন প্রশ্ন ও চারিদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে।
বাবুরহাটে সড়কের পাশে গোহাটের কারনে হাটের দিন যেটুকু পর্যন্ত গরুর বাজার থাকে সেটুকু পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে সড়কের পাশে দোকান দিয়ে থাকলে ও গোহাটের কারনে ঐদিন বেচাকেনা একে বারেই থাকেনা বললেই চলে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দোকানে বেচাকেনা আগের চেয়ে একটু বেশি থাকে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে অনেক ব্যবসায়ীরা জানান বাবুরহাটে সড়কের পাশে গরুর বাজারটি অন্যস্থানে সড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন। অন্য স্থানে গরুর বাজারটি দিলে সড়কের পাশে জানযট থেকে বিরত থাকবে, ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারবে।

বাবুরহাটের বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে, ইজারাদাররা যদি সেখানে গরুর বাজারটি স্থানান্তর করে তা হলে একদিকে সড়কে যানচলাচলসহ পথচারিরা চলতে পারবে স্বচ্ছন্দে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ও তিল পরিমান ক্ষতি হবেনা বলে তারা জানিয়েছে।
বাবুরহাটে সড়কের পাশে গরুর বাজাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।