নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানার্চর ইউনিয়নের হরিনা চৌরাস্তা থেকে চারটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে ৯৬টি ককশিট বোঝাই জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
জব্দকৃত চিংড়ি মাছ গুলো কোস্টগার্ড স্টেশনে নেওয়ার পর কিছু সংখ্যক মাছ সোর্সদের দিয়েছে কোস্টগার্ড।
বুধবার সকালে কোস্টগার্ডের সোর্সরা সেই মাছগুলো বড় স্টেশন মাছ ঘাট ও বহরিয়া আড়ৎ নিয়ে বিক্রি করেছে।
সেই সংবাদ জানতে পেরে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে এর সত্যতা প্রমাণ পান।
বড় স্টেশনের মাছ ঘাটের জনৈক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, কোস্টগার্ড নদীতে ও উপরে অভিযান চালিয়ে যেসকল মাছগুলো ধরে কিছু সংখ্যক মাছ তাদের সোর্সদের দিয়ে থাকে। আর সেই মাছগুলো কোস্টগার্ডের সোর্সদের কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করা হয়।
এদিকে বিষাক্ত জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ কোস্টগার্ড আটক করে সেই মাছ আবার সোর্সদের দেওয়ার পর বাজারে বিক্রি হওয়ার ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই নিষিদ্ধ ঘোষিত ভেজাল জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ খেলে মানবদেহে বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা হানারচর হরিনা চৌরাস্তা থেকে যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করার পর সেখান থেকে ২টি ককসিড স্থানীয় দুই যুবক নিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জেনে তাদের পিছু নিয়ে একটি ককশিট বোঝাই চিংড়ি মাছ জব্দ করলে বাকিটি নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার জানান, কোস্টগার্ড জব্দকৃত কোন মাছ বিক্রি করার সুযোগ নেই এছাড়া সোর্সদের দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অভিযানের সময় পূর্ব টের পেয়ে বাস থেকে চিংড়ি মাছ গুলো নামিয়ে ফেলে। সেই চিংড়ি মাছ অনেকে নিয়ে বিক্রি করেছে।