শাহরাস্তিতে কৃষি জমির মাটি (টপ সয়েল) কাটায় দায়ে অভিযুক্তদেরকে ১.৫ দেড় লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতে পরিচালনা করে চিতোষী পূর্ব ইউপির হাড়িয়া মৌজায় এবং পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের সাহাপুর মৌজার কালিয়াপাড়া এলাকায় এ দন্ড প্রধান করে । ওইদিন ৪টি স্থানে প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে ২টি স্থান থেকে অভিযুক্তরা কেটে পড়ে। পরে দুটি স্থানে অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ড দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওইদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ন রশীদ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী যৌথ ভাবে ও পৃথক এ অভিযান পরিচালনা করেন। ওইদিন দুপুরে প্রথম উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির হাড়িয়া মৌজায় বেকু দিয়ে ফসলের কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটির টপসয়েল উত্তোলন করে বিক্রি করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া একই দিন উপজেলা আয়নাতলী, হাড়িয়া, পৌর শহরের কালিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে ওই গ্রামের বেকুর মালিক ও চালক শাহিন নামে এক অভিযুক্তকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী অভিযুক্তকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। একই দিন পৌর শহরের সাহাপুর মৌজায় কালিয়াপাড়া এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ন রশীদ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরীর যৌথ অভিযানে মাটির টপ সয়েল কাটার দায়ে একই অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানের এক পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।
ওই দন্ড দুটি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্হাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৫(১) ধারা লঙ্ঘনে অপরাধে ১৫(১) ধারায় দেড় লক্ষ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্র জানায়, কৃষিজমির মাটি (টপ সয়েল) বিক্রয় ও পরিবহনের দায়ে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। কেউ অবৈধভাবে কৃষি জমির উর্বরমাটি কেটে তা বিক্রি এবং কেউ পরিবহন করলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ কাজে শাহরাস্তি থানার পুলিশ অফিসার সহ একদল পুলিশ, আনসার বাহিনী সদস্য, গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করে।