শাহরাস্তিতে ভেকু দিয়ে মাটির টপসয়েল কেটে কৃষিজমি ধ্বংস এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি অপরাধে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
সোমবার উপজেলা প্রশাসন রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপির বেরকি গ্রামের ফসলি জমির মাঠে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, ঘুঘরচপ গ্রামের মো: ইকবাল হোসেন (৪০) বেরকি গ্রামে ফসলি জমিনের মাঠে ভেকু দিয়ে টপসয়েল কেটে কৃষিজমি ধ্বংস করে মাছের ঘের তৈরি করছিল।
বিষয়টি প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্ত মোঃ ইকবাল হোসেনকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
একই দিন উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে পৌর শহরের শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা বিসমিল্লাহ খাবার হোটেলে একটি অভিযান পরিচালনা করে।
ওই সময় হোটেলে খুবই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি এবং হোটেল ও রেস্তোরা লাইসেন্স না থাকার অপরাধে হোটেলের স্বত্বাধিকারী মোঃ এহতেশামুল (৫৫)- কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
২ টি অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ভেকু ও খাবার হোটেল মালিককে এ দন্ড প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাত।
এ কাজে সহযোগিতা করেন শাহরাস্তি মডেল থানার সংশ্লিষ্ট অফিসার সহ সঙ্গীয় ফোর্স ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণমাধ্যমকে জানান, শাহরাস্তির ফসলি জমিনের টপসওয়েল রক্ষার্থে ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিটি হাটবাজারে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান প্রসঙ্গে জনগণ জানান, মানুষের ফসলি জমিন এবং জীবন ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকা উচিত।
এদিকে স্থানীয় জনগণ তথা ভোক্তা পর্যায়ে এই ধরনের অভিযানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।