ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জের সড়কে শাহরাস্তির একই পরিবারের ঝরলো ৩ টি তাজা প্রা’ণ

মুন্সিগঞ্জের ভবের চরের বাউশিয়া সড়কে শাহরাস্তির একই পরিবারের ঝরলো ৩ টি তাজা প্রান।
ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১জনকে স্কয়ার অন্যজনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার উপজেলার ভবেরচরের বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির কাদরা চৌকিদার বাড়ির হোসেন মেম্বারের পুত্র কুয়েত  প্রবাসী মোঃ আলমগীর হোসেন (৫৮)  ঢাকা ডেমরা নিজ বাসা থেকে দেশের বাড়ি শাহরাস্তি ঘুরতে আসেন।
ওইদিনই গৃহকর্তা আলমগীর পারিবারিক কাজ শেষে শাহরাস্তি থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা বাসায় ফিরছিলেন।
ওই সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া ভবের চরের বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে তাকে বহন করা গাড়িটিকে দ্রুতগতিতে একটি কাভার্ড ভ্যান স্বজরে ধাক্কা দিলে এটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গজারিয়া থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রবাসী আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট পুত্র ন্যাশনাল মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্র মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫), গৃহকর্তার খালা মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাহেলা বেগমকে (৬০) মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া চিকিৎসক নিহত আলমগীরের বড় পুত্র নজরুল ইসলাম (২৮) ও গাড়ি চালক সুজনকে (২৬)উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
নিহতের স্বজন মোঃ সোহেল জানান, নিহত আলমগীর হোসেন কুয়েতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
তিনি সেখানে প্রায় ৩০ বছর ধরে  ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তার বড় ছেলে গুরুতর আহত মো: নজরুল ইসলাম ঢাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । নিহত ছোট ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলের শেষ বছরের ছাত্র। তিনি দ্রুততম সময়ে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হয়ে বের হতেন।
এছাড়া নিহত খালা রাহেলা বেগমকে গৃহকর্তা আলমগীর চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এই দুর্ঘটনায় দেশ একজন বড় মাপের রেমিট্যান্স যোদ্ধা এবং তার পরিবার একজন দায়িত্বশীল গৃহকর্তাকে হারালো।
এই দুর্ঘটনার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হতেই নিহতের এলাকা শোকের মাতম বইছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের দেশের বাড়িতে মরদেহ দাফনের কথা রয়েছে।
গণমাধ্যমকে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্যাগস :

পড়ালেখার পাশাপাশি আদর্শ নাগরিক হতে হবে : চাঁদপুর সদর ইউএনও

মুন্সিগঞ্জের সড়কে শাহরাস্তির একই পরিবারের ঝরলো ৩ টি তাজা প্রা’ণ

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের ভবের চরের বাউশিয়া সড়কে শাহরাস্তির একই পরিবারের ঝরলো ৩ টি তাজা প্রান।
ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১জনকে স্কয়ার অন্যজনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার উপজেলার ভবেরচরের বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির কাদরা চৌকিদার বাড়ির হোসেন মেম্বারের পুত্র কুয়েত  প্রবাসী মোঃ আলমগীর হোসেন (৫৮)  ঢাকা ডেমরা নিজ বাসা থেকে দেশের বাড়ি শাহরাস্তি ঘুরতে আসেন।
ওইদিনই গৃহকর্তা আলমগীর পারিবারিক কাজ শেষে শাহরাস্তি থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা বাসায় ফিরছিলেন।
ওই সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া ভবের চরের বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে তাকে বহন করা গাড়িটিকে দ্রুতগতিতে একটি কাভার্ড ভ্যান স্বজরে ধাক্কা দিলে এটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গজারিয়া থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রবাসী আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট পুত্র ন্যাশনাল মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্র মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫), গৃহকর্তার খালা মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাহেলা বেগমকে (৬০) মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া চিকিৎসক নিহত আলমগীরের বড় পুত্র নজরুল ইসলাম (২৮) ও গাড়ি চালক সুজনকে (২৬)উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
নিহতের স্বজন মোঃ সোহেল জানান, নিহত আলমগীর হোসেন কুয়েতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
তিনি সেখানে প্রায় ৩০ বছর ধরে  ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তার বড় ছেলে গুরুতর আহত মো: নজরুল ইসলাম ঢাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । নিহত ছোট ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলের শেষ বছরের ছাত্র। তিনি দ্রুততম সময়ে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হয়ে বের হতেন।
এছাড়া নিহত খালা রাহেলা বেগমকে গৃহকর্তা আলমগীর চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এই দুর্ঘটনায় দেশ একজন বড় মাপের রেমিট্যান্স যোদ্ধা এবং তার পরিবার একজন দায়িত্বশীল গৃহকর্তাকে হারালো।
এই দুর্ঘটনার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হতেই নিহতের এলাকা শোকের মাতম বইছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের দেশের বাড়িতে মরদেহ দাফনের কথা রয়েছে।
গণমাধ্যমকে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।