নিহত রাহাতুল ইসলাম বাঁধন নোয়াখালী জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাঁধন দাউদকান্দি উপজেলার বাশরা গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাশরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর হোসেন।
ওসি আলমগীর হোসেন জানান, নিহত পুলিশ সদস্য রাতুল নোয়াখালী জেলায় কর্মরত থাকলেও সে সাসপেন্ড ছিলো। আজ রবিবার সকালে পূর্ব শত্রুরার জেরে স্থানীয় বাতেন ও আবুল হাশেমসহ ৩ থেকে ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করে পুলিশ সদস্য বাঁধন ও তার সহযোগীরা। পরে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুরে বাঁধনের বাড়িতে হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযোগ আছে বাঁধন তার পেশাগত পরিচয়ের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ছিলো।
রবিবার দুপুরের ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা ও কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসারত অবস্থায় বাঁধন ঢাকা মেডিক্যালে মারা যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, রাতুল বরখাস্ত অবস্থায় ছিলো। ঘটনার পর শুনেছি তার ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ ছিলো। যে কারনে এলাকাবাসীও ক্ষিপ্ত। বিষয়টি তদন্ত করছি।