এস. এম ইকবাল : একই সঙ্গে পৃথিবীর আলো দেখেছিল তিন বছর বয়সী আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। দুজনের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, খেলাধুলা, পোশাক-আশাক। কিন্তু তাদের সেই জীবনপ্রদীপ যে আবার একসঙ্গে নিভে যাবে, সেটা ভেবেই বাকরুদ্ধ তাদের পরিবার।
সকাল ১১ টা পর্যন্তও বাবার সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলো জমজ দুই ভাই। বাবার ব্যস্ততার কারণে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পিতা জসিম উদ্দিন কি জানতো যে এটাই তাদের শেষ দেখা, তাহলে পরম মমতায় তাদের আগলে রাখতো পিতা। বাড়িতে তাদের মাও রান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান বাড়ির উঠনে খেলায় মেতে ছিল। সবাইকে ঘুমে রেখেই বাড়ির অদুরে পুকুরে পড়ে চির জীবনের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।
১৫ নভেম্বর সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই ভাই আবদুল্লাহ ও আব্দুর রহমানের বয়স ৩ বছর। তারা উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জসিম উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, জমজ দুই ছেলে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল। কিছুসময় পর পরিবারের লোকজন তাদেরকে আর খুঁজে পায়নি। পরে তাদের মরদেহ বাড়ির পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। ওই সময় বাড়ির অন্যান্যদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, জমজ দুই শিশু হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছে। দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি এবং ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই।