স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকদ্দী পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ২৩ এপ্রিল। নির্বাচনকে ঘীরে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মাঝে চরম উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। ঐদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যালয়ে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪শত ১৩জন। নির্বাচনে পিজাইটিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল কৃষ্ণঘোষ।
এবারের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬জন পুুরুষ অভিভাবক প্রতিনিধি প্রতিদ্বদ্ধিতা করছেন, মহিলা অভিভাবক সদস্য দুই জন রয়েছে।
এরা হচ্ছেন মাহবুুব খান বাবুল, মোঃ রোকন মোল্লা, মফিজুর রহমান খান বাদল, মোঃ জাকির হোসেন খান, মিজান গাজী, সোহেল আহমেদ খান। মহিলা সদস্য রাবেয়া বেগম, দিলারা আফরিন। শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আবু নাছের, মোঃ হাসান আহমেদ, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি রেহেনা আক্তার, দিলারা আফরিন। শুধু মাত্র নির্বাচনে মনির হোসেন খান নামে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইতে বাতিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশনার।
ইতি মধ্যে নির্বাচনকে ঘীরে প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উভয় প্রার্থীরা যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নিবিশেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে সবাই প্রচারনা চালিয়ে যাচ্চে। কে কোন দল তা না ভেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষারমান উন্নয়নের স্বার্থে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে।
যেখানে যেখানে ভোটর আছেন সেখানেই প্রার্থীরা ভোটের কাছে চষে বেড়াচ্ছেন। গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রার্থীদের সমর্থকরা প্রার্থীর সমর্থনে ভোট চাইতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করায় বেশ জমজমাট আলোচনা ইউনয়নের সর্বত্র চলছে। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি, হাট বাজারে চলতি পথে যেখানেই ভোটার দেখছেন সেখানেই তারা তাদের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে। তবে অভিভাবক নিবাচনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলীয় প্রার্থী থাকায় ভোটারা আতংকিত রয়েছেন। দলীয় প্রার্থীরা দলের ক্ষমতার ব্যবহার করে নির্বাচনে সুবিধা হাতিয়ে নেয় কিনা এজন্য বিরোধী দলের প্রার্থীরা আত্নংকিত রয়েছেন।
বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্বাচনে দলীয় প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের কোন প্রকার সুযোগ নেই, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা রাখা হবে। বিদ্যালয়ের স্বার্থে দলীয় কোন পভব না পড়াটাই উত্তম, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ভাবে ভাল চলে তার জন্য সকলের প্রচেষ্ঠায় একটা সুন্দর নির্বাচন চান তিনি।
তবে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করলে তারা বলেন গ্রহনযোগ্য প্রার্থীর জনপ্রীয়তা বেশি প্রভাব পড়বে বলে ভোটাররা ধারনা করছে। এ নিয়ে নির্বাচনের ঘোষনারপর থেকে চলছে সকল পর্যায়ে আলোচনা, সমালোচনা। শান্তিপূর্ন নির্বাচনচান সকলে। অভিভাবক নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।